ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মানবতাবোধ নিয়ে সাংবাদিকদের কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১১:৫১  
আপডেট :
 ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১১:৫৮

মানবতাবোধ নিয়ে সাংবাদিকদের কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ছবি: প্রতিনিধি

দেশপ্রেম ও মানবতাবোধ নিয়ে কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এরই মধ্যে সম্প্রসারণ ও প্রচারণা আইন প্রণয়ন করেছি। আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তার বিষয়টাও দেখছি। আমরা হলুদ সাংবাদিকতা রোধে কাজ করে যাচ্ছি।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সংগঠনটির রজতজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বর্তমান সময়ে সবাই স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারছে।

আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছে এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কাজ করেছে। ওই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল দুর্নীতিই ছিল তাদের একমাত্র নীতি।

দুর্নীতি ধরা পড়লে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আগে দুর্নীতি অন্যায় ধামাচাপা দেয়া হতো। কিন্তু এই সরকার তা করে না। যারা দুর্নীতি করছে সরকার তাদের ছাড় দিচ্ছে না।

আরো পড়ুন: ডিআরইউ’র চার দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে গত ১১ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।

রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ‘কর্মের গৌরবে প্রাণের সৌরভে বিপুল শক্তি একসাথে শতপ্রাণে’ স্লোগানকে সামনে রেখে চার দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উদযাপনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ডিআরইউ।

কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। এদিন রজতজয়ন্তীর শোভাযাত্রার পাশাপাশি আইডিইবি ভবনে ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সংকট ও সম্ভাবনা: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক একটি স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া একই দিন ‘নারী সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ’ ও ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের আইন’ শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর আইডিইবি ভবনে। এদিন ‘রিপোর্টার্স চ্যালেঞ্জ: রিয়েল নিউজ ভার্সেস ফেক নিউজ’ শীর্ষক একটি সেমিনার ও ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ‘ভিউ এক্সচেঞ্জ: রিপোর্টার্স অ্যাক্রস দ্য গ্লোব’ শীর্ষক অনলাইনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩১ অক্টোবর। এদিন মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বনাম বর্তমান কমিটির সঙ্গে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এদিনের দ্বিতীয় পর্বে সমাপনী ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে ডিআরইউর রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার বলেন, ২৫ বছরে ডিআরইউর সব চেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে ইউনিটি বা একতা। এটি ডিআরইউ করতে পেরেছে। এই সংগঠন সকল রিপোর্টারদের একমাত্র সংগঠন হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। এই সংগঠন রিপোর্টারদের আবেগের সংগঠন। রিপোর্টারদের আবেগ হচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন এই আবেগটা আমরা ধারণ করি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ঐক্য ও সংহতি অব্যাহত থাকবে।

ডিআরইউর বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, রিপোর্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সমুন্নত কার জন্যই ২৫ বছর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিআরইউ আমাদের প্রাণের এবং আবেগের সংগঠন। আমরা আশা করি আমাদের এই ঐক্যকে ধারণ করে আগামী নেতৃত্ব ডিআরইউর কার্যক্রম ও মর্যাদাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করি রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে সবসময় আছে এবং থাকবে। আমি স্বপ্ন দেখি, আগামী ২৫ বছরে ডিআরইউর সদস্যদের জন্য নিজস্ব স্কুল থাকবে, কলেজ থাকবে এবং একটি জার্নালিজম ইনিস্টিটিউট থাকবে।

সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউ সাধ্যের মধ্য থেকে রিপোর্টারদের পাশে ছিলো। এখনো আছে। মহামারি করোনাতে সেটা আরও ভালোভাবে প্রমাণ করেছে ডিআরইউ। ২৫ বছরে এসে যারা এই সংগঠনকে তিলে তিলে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা৷ সুষ্ঠুভাবে পুরো আয়োজন সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

অন্যরা যা পড়ছেন:

> ডিআরইউ'র রজতজয়ন্তী পালনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ

> আজ ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

> ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়

> ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং পুরস্কার প্রদান

  • সর্বশেষ
  • পঠিত