মাদকের টাকা না দেয়ায় দুই মা বাড়িছাড়া!
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৫৬
চুয়াডাঙ্গায় সুলতানা রাজিয়া ও আহিনুর বেগমের মধ্যে চেনাজানা না থাকলেও একই শহরে বসবাস করেন দু'জন। দু'জনের পরিণতিও হয়েছে এক। নিজেদের বাড়িঘর সবকিছু থাকা সত্ত্বেও তাদের সেখানে জায়গা হয়নি। মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে দুই সন্তান।
পৃথক দুটি ঘটনায় মাদকাসক্ত সন্তানদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক মামলাও করেছেন দুই মা। তারপরও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না তারা।
তাদের একজন আহিনুর বেগম। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মল্লিকপাড়ার হাশেম আলীর স্ত্রী। ২১ অক্টোবর তার ছেলে শাহিন শেখ ও পুত্রবধূ ময়না খাতুনের নামে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা করেন তিনি।
ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ছেলে শাহিন শেখ মাদকাসক্ত। তার নেশার টাকা জোগাড় করে দিতে না পারায় বাড়ি ছাড়তে হয়েছে এই মাকে। শুধু বাড়িই ছাড়তে হয়নি, ছেলের হাতে মারও খেতে হয়েছে তাকে। চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয় ছেলে শাহিন শেখ। এক পর্যায়ে মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ঘরে থাকা মায়ের ৫০ হাজার টাকার সাংসারিক জিনিসপত্রও বিক্রি করে দেয় সে।
এ মামলায় শাহিন শেখের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে সুলতানা রাজিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ার মৃত হারুন অর রশিদের স্ত্রী। ছেলে সুলতান আহমেদ প্রায়ই তাকে মারধর করে। ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছে সে।
এ ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর ছেলে সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন সুলতানা রাজিয়া।
১৮ অক্টোবর পুলিশ সুলতান আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আদালত থেকে সে জামিনে মুক্ত হয়। এর তিনদিন পর বাড়ির আঙিনায় থাকা প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ কেটে বিক্রি করে দেয় সুলতান।
এ বিষয়েও শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশি তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে