ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

পুলিশি তৎপরতায় সংঘাত এড়ালো রাঙ্গুনিয়াবাসী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ২২:৩৬

পুলিশি তৎপরতায় সংঘাত এড়ালো রাঙ্গুনিয়াবাসী

গভীর রাতে মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুটিপক্ষ। যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে হাজির হয় রাঙ্গুনিয়া সার্কেল এএসপির নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স।

পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিবদমান উভয়পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে পুলিশ। সকল শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে মাহফিলটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত উপজেলার সরফভাটা এলাকায় উইনার তরুণ সমাজ নামীয় সংগঠনের আয়োজনে ওয়াজ মাহফিলের তারিখ ধার্য ছিল। বক্তা হিসেবে মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরীসহ আরো বেশ ক'জন বক্তার উপস্থিত থাকার কথা নিশ্চিত করে আয়োজকদের তরফে প্রচারণাও চালানো হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই আগের রাতে (২৫ অক্টোবর) স্থানীয় অন্য একটি পক্ষ একজন বক্তার বিষয়ে আপত্তি তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা মাহফিল প্রতিহতের ঘোষণা দিলে গোটা এলাকাবাসী মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। তৈরি হয় সংঘাতের আশঙ্কা।

উদ্ভুত পরিস্থিতির খবর পেয়ে মধ্যরাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম, রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব মিল্কিসহ পুলিশের একটি দল।

পরে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ ও উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি এবং পুলিশের মধ্যস্থতায় শুরু হয় সমঝোতা বৈঠক। একের পর এক প্রস্তাব-পাল্টাপ্রস্তাব, দাবি- পাল্টাদাবি শেষে উভয়পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে মাহফিল আয়োজনে সম্মত হন। পুলিশের ভূমিকা এবং উভয় পক্ষের মিলিত মতামতের ভিত্তিতে কোনরকম ঝামেলা ব্যতীতই ২৬ অক্টোবর মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষেয়ে সার্কেল এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানটি সম্পন্নের প্রতিশ্রুতি দেন। অবশেষে মাহফিলটি সুসম্পন্ন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়াবাসীকে ধন্যবাদ যে, তারা শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন।

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারিতে এই সরফভাটা এলাকাতেই অনুরূপ এক মাহফিলকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৩০ জন আহত হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তখন পুলিশকে দুই শতাধিক রাউন্ড গুলিও ছুড়তে হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত