ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের হামলায় প্রবাসী আহত

  সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০১:৩৮

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের হামলায় প্রবাসী আহত

সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের হামলায় রিয়াদ আহমদ রিমন (২৪) নামের এক বাহরাইন প্রবাসী আহত হয়েছেন। আহত রিমন খাসদবীর এলাকার মঈনুল ইসলামের ছেলে। তিনি করোনার লকডাউনের পূর্বে বাহরাইন থেকে দেশে আসেন। বুধবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে বাদামবাগীচা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এসময় আহত রিমনকে উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে হামলাকারীরা সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব বলয়ের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুমনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০ টার দিকে রিমন বাদামবাগীচা বাজারে দাঁড়ানো অবস্থায় কয়েকজন অস্ত্রসহ রিমনের উপর আক্রমণ করে। পরে তারা আহত অবস্থায় তাকে ফেলে চলে যায়। সরেজমিনে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে রিমনের পিঠে দায়ের কোপে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

আহত রিমন জানান, 'স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহজারুল ইসলাম সুমনের এক মেয়ে গত কিছুদিন আগে হঠাৎ করে বাসা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে মাজহারুল ইসলাম সুমন আমাদের খাসদবীর এলাকার তামিম নামের একটা ছেলেকে সন্দেহ করেন। কারণ তামিম এর সাথে আগে সুমনের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তখন সুমন সাহেব আমাদের এলাকার তামিম নামের নির্দোষ ছেলেকে সুমন ধরে নিয়ে উনার টর্চার সেলে নির্যাতন করেন। এসময় আমরা প্রতিবাদ করলে তামিম নামের ওই ছেলেকে কাউন্সিলর আফতাব ভাইয়ের অফিসে নিয়ে আসা হয়। এর সূত্র ধরেই মূলত আজকে সুমন ভাইয়ের অনুসারী রুমন, রিপন, শিপন, সুমনসহ কয়েকজন আমার উপর হামলা করেছে।'

এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আহত রিমনের ছোট ভাই জায়েদুর রহমান সুমন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা যুগ্ম সাধারণ মাজহারুল ইসলাম সুমন বলেন, 'যারা হামলা করেছে তারা আমার অনুসারী তা ঠিক না। তবে যেহেতু আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ করি তাই তারাও একই দলের এটা সত্য। আমরা ঘটনার পরপর জায়গায় গিয়েছিলাম৷ তবে কি কারণে হামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই।'

মেয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তামিম নামের ছেলেকে 'টর্চার সেলে' নির্যাতন করার প্রতিবাদ করায় হামলা হয়েছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়াধীন। এটার সাথে আজকের ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। আর টর্চার সেলে নির্যাতন এটা সত্য নয়। আর এমন কিছু আমি জানি না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এটা হয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত