ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

প্রকাশ্যে ঘুরছে জোড়া খুনের আসামিরা, আতঙ্কে পরিবার

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৩১

প্রকাশ্যে ঘুরছে জোড়া খুনের আসামিরা, আতঙ্কে পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামা বায়েক গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনা প্রায় এক মাস পেরিয়েছে। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি হত্যা মামলার মূল আসামি। খুনের মামলার আসামিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে তীব্র আতঙ্কে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের লালপুর লামা বায়েক গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইশান ও মনির হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় ২১ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত এক মাসে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ও নির্বিঘ্নে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার লালপুরে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে লামাবায়েক গ্রামের কলেজছাত্র ঈশান (২২) ও মনির হোসেনকে (২৪) প্রকাশ্যে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় লামাবায়েক গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির আহমদ আলীর ছেলে আলী আজম ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মতলব মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। এতে ঘটনাস্থলে ইশান ও মনির খুন হন।

একই গ্রামের আলী আজ্জম, মাহফুজ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাদের হত্যা করা হয় বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ।

এ ঘটনায় ১ অক্টোবর আশুগঞ্জ থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার একমাস পার হলেও পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ।

নিহত ইশানের বাবা প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের এতদিন পার হলেও আসামিদের ধরা হচ্ছে না। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

মা আকলিমা আক্তার বলেন, ছেলেই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। অনেক শ্রম অনেক প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে লালন পালন করেছি। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তারা মুক্ত আকাশের নিচে ঘোরাফেরা করছে। আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর অপরাধীরা পালিয়ে থাকে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত