ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিয়েবাড়িতে প্রশাসন দেখেই কিশোরী হয়ে গেলো প্রাপ্তবয়স্ক!

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৩  
আপডেট :
 ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৫৪

বিয়েবাড়িতে প্রশাসন দেখেই কিশোরী হয়ে গেলো প্রাপ্তবয়স্ক!

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাল্যবিয়ে দিতে অভিনব কায়দা অবলম্বন করেছে একটি পরিবার। বিয়ের সময় প্রশাসনের অভিযানের তথ্য পেয়েই কিশোরী কনের স্থানে বসিয়ে দেয়া হয় প্রাপ্তবয়স্ক একজনকে। পরে টানা দুইবার অভিযান চালিয়ে বর ও কনের বাবার কারাদণ্ডসহ কনের ফুপুকে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যামাণ আদালত।

শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে তাদের আটকের পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ দণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া মন্ডলপাড়া এলাকার মেজবান মন্ডলের ছেলে কনের বাবা তারিফ মন্ডল (৪১), জুনিয়াদহ এলাকার এনামুর রশিদ বুলবুলের ছেলে বর আহাদুর রশিদ (২২) এবং কনের ফুপু হানুফা খাতুন।

ভেড়ামারার ইউএনও সোহেল মারুফ জানান,উপজেলার সাতবাড়িয়া মন্ডলপাড়ায় ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হচ্ছিলো। খবর পেয়ে দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। কনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিয়ের আয়োজন চলছে। কিন্তু সেটি বাল্যবিয়ে না।

ইউএনও বলেন, অভিযোগ বাল্যবিয়ে হলেও কনে ছিলো প্রাপ্তবয়স্ক। পরে আবারো অভিযোগ পাওয়া যায় যে, সেটা বাল্যবিয়ে, অন্য মেয়েকে কনে সাজিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।

আবারো সেই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কনে পরিচয় দেয়া শাম্মি নামের মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, বাল্যবিয়েকে ধামাচাপা দিতে তারা এ কৌশল অবলম্বন করে।

পরে ভেড়ামারা থানায় কনের বাবা, কনে ও বিয়ের বরকে হাজির করা হয়। তারা জানায়, কৌশলে তারা প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেছে ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে।

পরে বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের বাবা তারিফ মন্ডলকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণদ, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে বর আহাদুর রশিদকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা ও বাল্যবিবাহে সহায়তা করার দায়ে একই আইনে কনের ফুপু হানুকা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোহেল মারুফ আরো জানান, শাম্মি আক্তার ভুয়া কনের সাজার ব্যাপারে জানায়, তাকে বাধ্য করা হয়েছে মিথ্যা কথা বলতে ও নিজেকে ভুয়া কনে হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত