ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

দায়সাড়া উচ্ছেদ, ঘণ্টা যেতেই দখল!

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২০, ২১:২০  
আপডেট :
 ০৮ নভেম্বর ২০২০, ২১:২৫

দায়সাড়া উচ্ছেদ, ঘণ্টা যেতেই দখল!

দায়সাড়াভাবে কুলাউড়ায় রেলওয়ে স্টেশন ও আশপাশের ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে হলে অভিযোগ উঠেছে। উচ্ছেদের সময় একটি তথাকথিত পতিতালয়সহ বেশকিছু অবৈধ দখল-স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ উচ্ছেদ।

তবে এ উচ্ছেদকে স্থানীয়রা 'লোক দেখানো' বলে সম্বোধন করছেন। স্থানীয়দের মতে, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি স্থাপনা ছাড়া আড়াই একর দখলকৃত ভূমি উদ্ধারে তেমন তৎপর ছিলেন না বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা।

এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘণ্টা যেতে না যেতেই আবার দখলে হয়ে যায়। বাঁশের খুঁটি দিয়ে সীমানা আলাদা করে দখল বলবত করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া রেলওয়ের আড়াই একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে স্টেশনে ও রেলওয়ে কলোনীতে আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। এছাড়া অনুমোদনহীন ও লিজ বাতিল হয়ে যাওয়া ভূমিতে অবৈধভাবে রেলওয়ে জামে মসজিদের দ্বিতল মার্কেট, পার্শবর্তী এলাকায় একতলা মার্কেটসহ অবৈধ দোকানপাট স্থাপন করে রেলের ভূমি জবরদখল করে রাখা হয়েছিলো।

রেলওয়ে সূত্রে আরও জানা যায়, রেল কলোনীর প্রায় দেড় শতাধিক পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারে অবৈধভাবে ভাড়া দেয়া ঘরে অনেক অপকর্ম চলতো। এসব অবৈধ দখল ও স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য গত ৬ মাস আগে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছিলো।

উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শওকত জামিল মহসিন, রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগো ইকবাল মাহমুদ ও আমিন মমরাজুল ইসলাম, কুলাউড়া থানা পুলিশ, রেলওয়ে জিআরপি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে রেলওয়ে মসজিদের পশ্চিম পাশের ভূমি, উত্তর রেল কলোনীর উচ্ছেদকৃত ভূমি এবং স্থাপনা আবারো ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বাঁশের খুঁটি ও বেড়া দিয়ে দখল করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল আলম শফি নামে এক ব্যক্তি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ মার্কেট ও আশপাশের স্থাপনা উচ্ছেদ করে অভিযান টিম সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর শফিউল আলম শফি তার লোকজন নিয়ে বাঁশের খুঁটি ও বেড়া দিয়ে দখলমুক্ত স্থাপনাগুলো দখলে নেন।

মুঠোফোনে শফিউল আলম শফির কাছে এ বিষয়ে জানান, রেলওয়ে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি সিন্ডিকেট কাজ করে আসছিলো ফায়দা লোটার জন্য। দখল নয়, আমি মসজিদের জায়গা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করছি মাত্র। রেলের আইন অনুযায়ী পরবর্তীতে বিষয়টি দেখা যাবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, দিনব্যাপী দুটি স্কেবেটর ও ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে রেলের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উচ্ছেদকৃত স্থাপনা ও দখলমুক্ত ভূমি রক্ষণাবেক্ষণের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, দখল হলে আবার উচ্ছেদ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত