ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পদোন্নতি জটিলতায় এএসপি শিপন অসুস্থ হয়নি

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২০, ২১:০১

পদোন্নতি জটিলতায় এএসপি শিপন অসুস্থ হয়নি

বিভাগীয় কোনো কারণে ঢাকায় হাসপাতালে নির্যাতনে নিহত বরিশাল মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুল করীম শিপনের মানসিক সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি না হওয়ার ভিন্ন কারণ ছিল। চাকরিতে পদোন্নতি কারো আগে হয়, কারো পরে হয়, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়া। বেঁচে থাকলে হয়তো যথাসময়ে তা হয়ে যেতো।’

শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের বরুদা এলাকার বাড়িতে শিপনের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডিআইজি। এৎসময় ডিআইজির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবীর, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম, র‌্যাব-৪ এর সি.ও মোজাম্মেল আহমেদ, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জুয়ারদার প্রমুখ।

‘আনিসুল করিমের পদোন্নতি না হওয়ায় তার মানসিক সমস্যার একটি কারণ কী না’ এমন প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, ‘বিভাগীয় কোনো কারণ নেই। করীম শিপনের পদোন্নতি না হওয়ার ভিন্ন কারণ ছিল। চাকরিতে পদোন্নতি কারো আগে হয়, কারো পরে হয়, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়া। বেঁচে থাকলে হয়তো যথাসময়ে তা হয়ে যেতো।’

ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মানসিক চিকিৎসার জন্য পুলিশের নিজস্ব কোনো হাসপাতাল নেই। যার কারণে এএসপি শিপনকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে ঢাকার সরকারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের কাছে পরিবেশ-পরিস্থিতি মানসম্মত মনে না হওয়ায়, ভালো মানের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার প্রত্যাশায় ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখানে নেয়ার পরবর্তীতে বাস্তবতা যেটা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তা এখন সবাই জানে। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তারও হয়েছে। ’

‘আনিসুল করীম শিপনের স্ত্রীকে সম্মানজনক কর্মের সঙ্গে বা পেশার সঙ্গে যুক্ত করা য়ায় কি-না তা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ।

নিহতের বড় ভাই মো. রেজাউল করিম সবুজ জানান, শিপন ছিল তার ব্যাচের প্রথম ম্যান। তার ব্যাচের পরবর্তী প্রায় সকলেরই প্রমোশন (এডিসি) হয়ে গেছে। কিন্তু শিপনেরই হয়নি। এছাড়া গতমাসে তার অফিস থেকে সাভারে একটি ট্রেনিংয়ে পাঠানো হলে তাতে শিপন অংশ নেয়নি। এতে এ মাসের প্রথম দিকে তাকে শোকজও করা হলে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেছিল খুব চাপা স্বভাবের। তাই অনেক কথা সকলকে না বলে নিজের মধ্যে চেপে রাখতো।’

গত সোমবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার আদাবর এলাকায় মাইন্ড এইড কেয়ার হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের লোকজনের নির্যাতনের কারণে শিপন মারা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত