ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

২২ খুঁটি সরাতেই কাটছে দুই বছর!

  জালালউদ্দিন সাগর, চট্রগ্রাম থেকে

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৫:০২  
আপডেট :
 ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৪৮

২২ খুঁটি সরাতেই কাটছে দুই বছর!

সমন্বয়হীনতার কারণে মাত্র ৪ দিনের একটি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সময় লাগছে প্রায় দুই বছর। তাও কাজটি কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না চসিকের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে নগরীর টাইগারপাসের নেভি কনভেনশন সেন্টার থেকে পাহাড়তলী রেল ক্রসিং পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে কাজটি শুরু হয়ে শেষ হয় চলতি বছরের প্রথমভাগে।

সড়ক সম্প্রসাণের কাজ শেষ হলেও যান চলাচলে বিপত্তি বাধে রাস্তার প্রায় মধ্যখানে রয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৩ কেভি লাইনের ২২টি খুঁটি নিয়ে। সম্প্রসারণ শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর সময় অতিবাহিত হলেও সড়কের মাঝখানে থাকা ঝুকিপূর্ণ ২২টি খুঁটি সরাতে পারেনি চসিক।

নাশন্যাল গ্রিডের বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়ক সম্প্রসারণের সময়ই সরিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে সেই খুঁটিগুলো না সরিয়ে সড়ক সম্প্রসারণ করেছে কর্পোরেশন। এতে যানবাহন চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরজমিনে দেখা যায়, টাইগারপাস, আমবাগান ও পাহাড়তলী রেলক্রসিং পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তর অবস্থিত। পূর্বাঞ্চলের একমাত্র কারখানাও এ সড়কে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বড় গাড়িগুলোও এ সড়কে চলাচল করছে।

টাইগারপাস, আমবাগান ও পাহাড়তলী রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে বিদ্যুতের প্রায় দুই শতাধিক খুঁটি থাকলেও সেগুলো সড়কের পাশে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ও বাজেট নির্ধারণ করা ছাড়াই রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এর মধ্যে নেভি কনভেনশন সেন্টার থেকে রেলওয়ে জাদুঘর পর্যন্ত সড়কের একপাশে বিদ্যুতের প্রায় ২২টি খুঁটি পাঁচ থেকে ৮ ফুট রাস্তার ভেতরে রয়েছে। এসব খুঁটিগুলোর সাথে যানবাহনের যেকোনো সময় থাক্কা লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।

বিদ্যুৎ বিভাগ স্টেডিয়াম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী উজ্জল মহন্ত বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন বলেন, এই মাসের (নভেম্বর) মধ্যেই খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে।

খুঁটি সরাতে কতদিন সময় লাগবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন থেকে চার দিন।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সড়ক সম্প্রসারণ করার আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় না করেই রাস্তা সম্প্রসারণ করেছে চসিক। যে কারণে খুঁটি সরানোর ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

জানতে চাইলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ইতোমধ্যে খুঁটি সরানোর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। কর্পোরেশন থেকে খুঁটি সরানোর ব্যয় বাবদ বিদ্যুৎ বিভাগকে অর্থ ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত