ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আগমনে ব্যস্ত লেপ তৈরির কারিগররা

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৩  
আপডেট :
 ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৯

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আগমনে ব্যস্ত লেপ তৈরির কারিগররা

সর্ব উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়। সীমান্তবর্তী ও হিমালয়ের কিছুটা কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা দিয়েছে আগাম শীত। শীত নিবারণের জন্য ব্যবহার হয় লেপ। জেলায় আগাম শীত দেখা দেয়ায় লেপের চাহিদাও বেড়েছে এখন থেকে। তাই লেপ তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। যদিও মূলত দেশে শীত কাল পৌষ ও মাঘ কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে কার্তিকের মাঝামাঝিতেই শুর হয়েছে শীতের আনাগোনা।

জেলায় শীতের আনাগোনা শুরু হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে লেপের চাহিদা বাড়াই লেপ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা ও তুলা ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার রাত ৮টায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।

কালিবাড়ি তুলা ঘরের কারিগর আবুল কাশেম জানান, তিনি গত ৪০ বছর থেকে লেপ তৈরির কাজ করে আসছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আগাম শীতের কারণে লেপের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনে একজনে ৬ থেকে ৮টা পর্যন্ত লেপ তৈরি করে তারা। এতে তারা প্রতি লেপ সেলাইতে মজুরি পান ১৫০ টাকা। এবার তাদের কাজের চাপ এখন থেকেই বেড়েছে। তাই সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছেন। কাজের চাপ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে কালিবাড়ি মিন্টু তুলা ঘরের কারিগর দুলাল জানান, এখন জাজিমের চাহিদার থেকে বর্তমানে লেপের চাহিদা বেশি হলেও জাজিমের চাহিদাও কম না। আমরা প্রতি জাজিমে সেলাই মজুরি পাই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। দুই জন কারিগর মিলে দিনে কমপক্ষে ৪টি জাজিম তৈরি করতে পারেন তারা।

কারিগর সুমন ইসলাম জানান, অন্যান্য মৌসুমে দিনে ২ থেকে ৩টি করে লেপ তরির কাজ পাওয়া গেলেও বর্তমানে শীত শুরু হতে না হতেই দিনে ১২ থেকে ১৭ টা পর্যন্ত লেপ সেলাইর কাজ হয় তাদের।

কারিগর আইনুল হক জানান, এখানে, কার্পাস, পলি, শিমুলসহ বিভিন্ন প্রকার তুলা পাওয়া যায়। কার্পাস নামক তুলাটি লেপ তৈরির জন্য সব থেকে ভালো। কার্পাস তুলাটির বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ টাকা কেজি।

কালিবাড়ি তুলা ঘরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মমিন জানান, গতবার নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের তুলনায় এবার নভেম্বর মাসে তুলনামূলকভাবে লেপের বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার বিভিন্ন প্রকার তুলা ও কাপড় অনুযায়ী লেপ প্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। বর্তমানে বিভিন্ন মাপের লেপ বিক্রয় হচ্ছে ১ হাজার ২’শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে মিন্টু তুলা ঘরের স্বত্বাধিকারী মিন্টু জানান, এবার হঠাৎ করে আগাম শীত শুরু হওয়ায় ক্রেতার চাপ বেড়েছে। এতে কারিগররাও অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করছেন বিধায় তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে লেপ তৈরির বিভিন্ন মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপের দামও একটু বেশি।

লেপ-তোষক তৈরির পাশাপাশি বিছানার চাদর, বালিশ ও বালিশের কভারসহ দরজা জানালার পর্দার কাপড় বিক্রয় করা হচ্ছে এসব দোকানে। লেপ-তোষকের এই সব দোকানের কারিগরদের ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে তাদের কাজের চাপ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত