ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

সঙ্কটে ডুবেছে সাতক্ষীরা বিসিক, হতাশ উদ্যোক্তারা

  শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২৫  
আপডেট :
 ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৯:০৫

সঙ্কটে ডুবেছে সাতক্ষীরা বিসিক, হতাশ উদ্যোক্তারা

বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরী। প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনাসহ গভীর সংকটে ডুবেছে শিল্পী নগরী। নির্দিষ্ট সীমানা প্রাচীর আর নৈশ্য প্রহরী না থাকায় চুরি আর বখাটেদের উৎপাত লেগেই থাকে। এমন পরিস্থিতির জন্য চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। তারা এজন্য বিসিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

সূত্রমতে, ১৯৮৬ সালে সাতক্ষীরা শহরের উপকণ্ঠে বেতনা নদীর তীরে বিনেরপোতা নামক স্থানে ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরী। মোট ৯৬টি প্লটে মাছের রেণু প্রক্রিয়াজাত, দুগ্ধ শীতলীকরণ প্রতিষ্ঠান, বরফ ফ্যাক্টরি, বেকারি, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তবে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যাওয়াসহ ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে বেহাল দশা দেখা গেছে। বদ্ধ ড্রেনের কারণে অনেক সময় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তরল বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকে।

বিসিকে ৩০টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে ৯১টি প্লট বরাদ্দ হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। এমনকি বিসিকের দাপ্তরিক কার্যক্রমও পরিচালিত হয় ভগ্ন একটি দ্বিতল ভবনে। সেখানে মাঝে মধ্যে পলেস্তারা খসে পড়ছে।

এ ব্যাপারে চায়নাবাংলা বেকারি ও প্লাস্টিক ইন্ডাজট্রিজের ম্যানেজার বিধান চন্দ্র দাশ এবং বিসিকে উৎপাদিত বিসমিল্লাহ হ্যাচারির সত্ত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম জানান, বিসিকের পানিতে মাছের উৎপাদন ভালো হয় না। পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। অধিকাংশ সময় পানির প্লান্টটি নষ্ট থাকে। পানি সরবরাহ হয় না। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলেই রাস্তার মধ্যে পানি জমে থাকে। অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ খরচে রাস্তা নির্মাণ করে নিয়েছে।

এছাড়া নির্দিষ্ট সীমানা প্রাচীর না থাকায় সবসময় গরু-ছাগল বিচারণ করছে। সেইসঙ্গে চুরি আর বখাটেদের উৎপাত লেগেই থাকে। বিসিক কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিলেও কোনো সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিল্প উদ্যোক্তরা।

বিসিকের প্লান্ট অপারেটর আব্দুর রশিদ জানান, পানির প্লান্ট কমবেশি প্রায় সময় নষ্ট হয়ে থাকে। বিভাগীয় অফিসে রিপেয়ারিং অর্ডার পাঠানো হয়। যদিও অর্ডার অনুমোদন হয়ে আসতে অনেক সময় লাগে। যে কারণে বেশিরভাগ সময় পানি সরবরাহ করা হয় না।

সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক গৌরব দাশ জানান, পানি, রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতাসহ নানামুখী সঙ্কটে রয়েছে সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরী। সঙ্কটগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।

গৌরব দাশ আরো জানান, ইতোমধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে সাতক্ষীরাসহ ৮টি শিল্পনগরীর উন্নয়ন নিয়ে প্রজেক্ট পাস হয়েছে। কাজ শুরু হলে দ্রুত সঙ্কট নিরসনের পাশাপাশি বিসিকের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা-ব্যাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সচল হবে অর্থনীতি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত