ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে মারধর, ভিডিও ভাইরাল

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৩৫

ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে মারধর, ভিডিও ভাইরাল

কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে অপর কয়েকজন কিশোর মিলে মারধর করেছে। মারধরের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।

শুক্রবার দুপুরে ফেসবুকে ভিডিওটি পাওয়া যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে একটি কিশোরকে দুইজন কিশোর কিল-ঘুষি ও লাথি মারছে। তাদের মধ্যে একজন তাদের শান্ত করার চেষ্টাও করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে ছেলেটিকে মারধর কছে তার নাম লাবিব আলমাস। তাকে তার সমবয়সী কয়েকজন কিশোর দাওয়াতের নাম করে ডেকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং চাঁদাগার মাঠের মধ্যে মারধর করে। সেটি ভিডিও পরে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ছাড়া হয়। লাবিব আলমাস কুষ্টিয়ার কালেক্টর স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

লাবিব আলমাস বলেন, “আমি মাহাবুবুর রহমান অভির (মারধর করা কিশোর) সাথে একই স্কুলে একই সাথে পড়তাম। কোন এক খারাপ কাজ করায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেন। তারপর থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে কথা আদান প্রদান করতাম। আমি সকালে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে গেলে অভির সাথে দেখা হয় এবং আমাকে বিকালে দাওয়াতের কথা বলে। বিকেলে কোটপাড়ায় অভির বাসায় গেলে অভি রিকশায় করে হাউজিং চাঁদাগার মাঠের মধ্য নিয়ে যায়। কোন কিছু ভাবার আগে অভি ও মিতুল (সবুজ টি-শার্ট পরা কিশর)-সহ আমাকে তিন চারজন মিলে মারপিট করে। ওদের মধ্যে থেকে শাওন নামের একজন মারতে নিষেধ করছিলো। আগে থেকে আমাকে মারার সিদ্ধান্ত করে রেখেছিলো। কোনরকম ওখান থেকে পালিয়ে যাই আমি।”

তিনি বলেন, “আমি বারবার বলছিলাম কেনো আমাকে মারছো? তারা কিছুই শুনছিলো না, মারছিলো। আমাকে মাফ করে দেও, ক্ষমা করে দাও বলে আকুতি করছিলাম তাও তারা মারছিলো আমাকে। পরে পাশে কাজ করছিলো এমন কিছু লোক এগিয়ে আসায় আমি সেখান থেকে চলে আসার সুযোগ পাই।”

কিশোর গ্যাংদের ক্ষমতার দাপট দেখানো ও গ্রুপিং এর কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।

লাবিব আলমাসের মা অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলে কোন কিশোর অপরাধের সাথে জড়িত না। সে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়েছিলো। আর ওর আগের বন্ধু অভি দাওয়াতের নাম করে ডেকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।”

মাহাবুবুর রহমান অভি বর্তমানে খালার বাসা থেকে পড়াশোনা করেন। তার গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলায়। তিনি কুষ্টিয়া কলকাকলী স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, লাবিব আলমাসকে মারধরের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এসে অভিযোগ করার কথা বলেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করার কথা রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত