ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর আকুতি

জীবনের শেষ ইচ্ছা বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ

  শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২০, ১৭:১৭  
আপডেট :
 ২১ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৩

জীবনের শেষ ইচ্ছা বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আরশাদ আলী মোড়লের আকুতি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের আওতায় নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে।। শেখ কামালের সঙ্গে ট্রেনিং করেছেন ভারতের বিহারে। তিনি শেখ কামালকে ভাই বলে ডাকতেন। শেখ কামালের সঙ্গে যুদ্ধকালীন অনেক স্মৃতি আজও তার হৃদয়ে ঝলমলিয়ে ওঠে।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আকুল ইচ্ছা বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ মোড়লের।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত জয়নুদ্দিন মোড়লের ছেলে আরশাদ। তিনি ৩৩ বছর বয়সে নিজ ভিটেমাটি ছেড়ে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সার্টিফিকেট ও দালিলিক কিছু কাগজপত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ জার্নালের কাছে। এ সময় তিনি ইতিহাসের গৌরব গাঁথা কিছু কাহিনিও তুলে ধরেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ মোড়ল জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি গোপালগঞ্জ সাবডিবিশন উড়াকান্দি গ্রামের ঠাকুরবাড়ী থেকে শেখ কামালকে সঙ্গে নিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন এবং দেবহাটায় রাত যাপন করেন। পরদিন সকালে ভারতের কলকাতা পাকসার্কাস বাংলাদেশ মিশন হয়ে বিহারে গিয়ে ট্রেনিং করেন। সেখানে ৩ মাসের জন্য ট্রেনিং অংশ নেয় শেখ কামাল। আর মাত্র ১৪ দিনের ট্রেনিং নিয়ে ভারতের টাকি হয়ে দেশে ফিরে ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন।

এ সময় তার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল। তিনি ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট শচিনসহ আরও অনেক কমান্ডারের সঙ্গে দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনিতে বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে পাকিবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেন। নিজ চোখের সামনে অনেক সহযোদ্ধাকে প্রাণ হারাতে দেখেন মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী।

এদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা সেইসব ইতিহাস বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি নিজ বাড়ির পাশে অবস্থিত একটি অরক্ষিত বধ্যভূমির চিত্র দেখান। যেখানে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ১৪ জনকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। সেই অরক্ষিত বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবিও জানান প্রবীণ এই মুক্তিযোদ্ধা।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ভূুলতে পারেননি প্রিয় সহযোদ্ধা, দেশ নায়কের উত্তরসূরি শেখ কামালের কথা। তাইতো তিনি জীবনের অন্তিম বেলায় একটিবার হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ কামালের বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে কথা বলে মনের অক্ষেপ মেটাতে চান। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ মোড়ল তিনবার চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত