ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা: পাঁচজনের সাক্ষ্য

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৩৬  
আপডেট :
 ২২ নভেম্বর ২০২০, ১৯:০৮

প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা: পাঁচজনের সাক্ষ্য

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় স্বাক্ষ্য দিয়েছেন পাঁচজন সাক্ষী।

রোববার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য দেন তারা।

সাক্ষ্যদাতারা হলেন- তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার শহীদুল হক জীবন, সেসময় শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হামলার শিকার তৎকালীন যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফাতেমা জামান সাথী, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মুজিব, সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির ১২৩তম কার্যদিবসে ৫ জন সাক্ষী আজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির দিন ধার্য্য হওয়ায় সাক্ষীদের জেরা করছেন না আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পত্নীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান। ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে ততকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করে।

আরও পড়ুন: কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বিচারকাজ শুরু

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় এজহার দাখিল করেন। সেসময় চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত সরকারের চাপে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিলে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নামে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। মামলায় ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে আজ ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণসহ মোট ১৫ জন তাদের সাক্ষ প্রদান করেন।

সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আপিল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আজ সক্ষ্য চলাকালে আদালতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত