ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ত্রিভুজ প্রেমের দ্বন্দ্বে বোনকে খুন

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৫২

ত্রিভুজ প্রেমের দ্বন্দ্বে বোনকে খুন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার মহাসড়কে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

রোববার নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মো. আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। আড়াইহাজার থানার শিমুলতলায় পাওয়া যুবতীর লাশের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে পিবিআই। তার নাম পাপিয়া বেগম (২০)।

শনিবার (২১ নভেম্বর) আসামি আরিফুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। সে জানায়, নিহত পাপিয়ার ভাই সাম্মি পাপিয়াকে হত্যা করেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই জানায়, আসামি আরিফুল ইসলামের সাথে পাপিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু এই সম্পর্ক পাপিয়ার ভাই সাম্মি (হিজড়া) মেনে নিতে পারেনি। সাম্মি চাইতো আরিফুল তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলুক। বিষয়টি পাপিয়া জানতে পারলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়।

গত ২৭ মে আসামি আরিফুল, পাপিয়া এবং তার ভাই সাম্মি সবাই পাপিয়ার বাসায় ছিলো। দুজনের ঝগড়ার কারণে আরিফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে বৃষ্টির কারণে যেতে না পারায় তার পরিচিত একই বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় জনৈক সামিয়ার বাড়িতে অবস্থান করে। কিছুক্ষণ পরে পুনরায় আরিফুল পাপিয়ার ঘরে এসে পাপিয়ার লাশ ঘরের বিছানার উপর দেখতে পায়। এ সময় ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং সাম্মি ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলো। আরিফুল ঘরের ভিতরে চলে আসায় সাম্মি আরিফুলকে বলে যে, পাপিয়া বেঁচে আছে। পরে তারা একজন স্থানীয় ডাক্তারকে ডেকে এনে জানতে পারে পাপিয়া মারা গেছে। সাম্মির মাধ্যমে তার বাবা জয়নাল, পাপিয়ার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসে।

পরে পাপিয়ার পিতা জয়নালের পরিকল্পনামতে আরিফুল ইসলাম, জয়নালের ছেলে মামুন এবং সাম্মি মিলে মৃত পাপিয়ার লাশ ভৈরব ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতে তারা সবাই মিলে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মৃত ভিকটিম পাপিয়াকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে রওয়ানা হয়।

কিন্তু পথিমধ্যে পুলিশের চেক পোষ্ট থাকায় তারা আড়াইহাজারের শিমুলতলায় রাস্তার পাশে জঙ্গলের ভিতরে মৃত ভিকটিম পাপিয়ার লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

গত ২৮ মে আড়াইহাজারের শিমুলতলায় পুলিশ এক অজ্ঞাতনামা যুবতীর লাশ পেলে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ২৯ মে একটি মামলা দায়ের করে। প্রথমে মামলাটি পুলিশের কাছে তদন্তনাধীন থাকলেও পর ২৩ জুলাই পিবিআইয়ের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হলে তারা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত