ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

  হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩৯

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

হবিগঞ্জের বাহুবলে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দেবরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে লাশ দাফন করা হয়েছে।

খবর পেয়ে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামে ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবীর, সেকেন্ড অফিসার শাহ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২২) সাথে তিন বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান। সুখেই যাচ্ছিল তানিয়ার দাম্পত্য জীবন।

কিন্তু তানিয়ার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে দেবর জানে আলমের। জানে আলম দুই সন্তানের বাবা। সেও সৌদি প্রবাসী। করোনার আগে দেশে আসলে সে আর সৌদি পাড়ি দিতে পারেনি। তার কুনজর পড়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়ার প্রতি। তানিয়াকে প্রায়ই তিনি উত্যক্ত করতেন। তানিয়া শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে বিষয়টি বারবার জানালেও তারা কোন কর্নপাত করেনি। জানে আলমের স্ত্রীকেও বিষয়টি জানায় তানিয়া। এ নিয়ে জানে আলমের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়াও হয়। স্ত্রী নিষেধ করলেও তার নিষেধ মানেনি জানে আলম। বিষয়টি ছড়িয়ে পরে পুরো গ্রামে।

এদিকে বিষযটি সবাইকে জানানোয় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জানে আলম। বিচারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ওঠেন তিনি। গত রোববার দিবাগত রাতে দরজার লক ভেঙে তানিয়ার রুমে প্রবেশ করে তানিয়াকে ধর্ষণ করে জানে আলম। এক পর্যায়ে তানিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে রাতে তানিয়ার ছোট ভাই তানভীরকে ফোন দেয় জানে আলম। ফোন দিয়ে বলেন, তার স্ত্রী অসুস্থ একটি সিএনজি নিয়ে আসতে। সে সিএনজি নিয়ে জানে আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখে বোন অসুস্থ অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে।

প্রথমে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিষপান করেছে বলে ভর্তি করান নিহত তানিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজনই। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সোমবার ভোরে তাকে সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে গলাটিপে হত্যা করে জানে আলম ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহত তানিয়ার মামা আব্দুর রহিম জানান, তানিয়াকে ধর্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে গলাটিপে হত্যা করে জানে আলম। তার সাথে জড়িত তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও। আমরা লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম আলম চৌধুরী ও বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রয়েছেন।

বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নিহতের বাবা বাড়ি ও শশুরবাড়ি উভয়পক্ষের বক্তব্য পাল্টাপাল্টি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত