ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

নির্মাণকাজ শেষ, ২ বছরেও চালু হয়নি নার্সিং ইনস্টিটিউট

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১১:১৯

নির্মাণকাজ শেষ, ২ বছরেও চালু হয়নি নার্সিং ইনস্টিটিউট

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)- এ ২০১৩ সালে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের নার্সিং ইন্সটিটিউট এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২ বছর আগে ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ঠিকাদার ভবনটি বুঝিয়ে না দেয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনো। আগামী বছরও পাঠদান শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

তিনতলা ভবনের এ নার্সিং ইনস্টিটিউটে আবাসিক ২০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমের সর্বাধুনিক সুবিধা রয়েছে। ভবনটিতে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।

পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)- এ ২০১৩ সালে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণকাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। মোট বরাদ্দের মধ্যে সরকার ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধ করে এবং বাকি টাকা পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিশোধ করে। ২০১৮ সালে এই ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। ওই বছরের ডিসেম্বরেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগের কাজ বাকি রাখে।

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণ কাজের ৯৯ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, মাত্র ১ শতাংশ কাজ বাকি থাকায় গণপূর্ত বিভাগ তা ডায়াবেটিক হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর না করায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। এটি চালু হলে দু’শ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষার সুযোগ পাবেন।

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বেবি ইসলাম বলেন, সামান্য কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকায় এবং নির্মাণ কাজ সিংহভাগ শেষ হলেও গণপূর্ত বিভাগ এখনও প্রতিষ্ঠানটি আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। যে কারনে গত ২ বছরেও ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, গণপূর্ত বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে বার বার তাগাদা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এভাবে পড়ে থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া তালাবদ্ধ ভবনটি নষ্ট (ডাম) হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

সভাপতি বলেন, কাজ শেষ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় সময় বাড়িয়ে এ বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য চিঠি দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের কাছে ইনস্টিটিউটটি বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি গণপূর্ত বিভাগ। এ অবস্থায় আগামী শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরু করা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এটি শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব এ প্রতিষ্ঠান ডায়াবেটিক হাসপাতালের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত