ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেতারা কঠোর নজরদারিতে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৮:১৫  
আপডেট :
 ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৪২

নেতারা কঠোর নজরদারিতে
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ মনোনীত জনপ্রতিনিধি ও দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কঠোর নজরদারিতে আছেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবন এলাকাস্থ সরকারী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দল কখনও কোনো অপরাধীকে রক্ষা করার ঢাল হবে না। শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই। গুটিকয়েক মানুষের অপরাধের জন্য সরকারের অনন্য অর্জনগুলো ম্লান হতে দেয়া যায় না। অপরাধের দায় ব্যক্তির, দলের নয়। পুরো দেশে সাংগঠনিক নেতৃত্বের উপর দলীয় সভাপতির দৃষ্টি রয়েছে। শেখ হাসিনার কাছে সকলের পারফরম্যান্সের রিপোর্টও রয়েছে। যারা বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, দলীয় দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কার্যক্রমও গুরুত্ব সহকারে মনিটর করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন নীতি অনুসরণ করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। সাংগঠনিকভাবে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া হয় না। যেকোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া মাত্রই নেয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সপ্রণোদিত হয়ে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন, তা এখনও চলমান আছে, ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রতি নরসিংদী ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেয়া প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি কেন্দ্র হতে তৃণমূলের জন্য দলীয় প্রধানের একটি বার্তা। মজবুত এবং গণমুখী সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য, বিভিন্ন ইউনিটে পারস্পরিক সমঝোতা, সমন্বয় এবং সম্প্রীতির অভাব দেখা দিলে সংগঠনে অচলাবস্থা তৈরি হয়। দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাকে এখন গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। সততা, নিষ্ঠা এবং দলের প্রতি ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ জেলা থেকে কেন্দ্রে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ কারো ব্যক্তিগত ভাগ্যবদল ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়। দলের প্রতি ত্যাগ, সততা ও নিষ্ঠা থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তৃণমূল থেকে সময়মতো যে কাউকে যেকোনো দায়িত্ব দল এবং সরকারে দিতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত