নেট-পাটা অপসারণে নেমেছেন দুই চেয়ারম্যান
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৪৮ আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১৭
খাল বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের তেয়াশিয়া নদীতে সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ করা হয়েছে। পরিষ্কার করা হচ্ছে খালের শেওলা। এর ফলে খালের পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে খলিষখালী ইউনিয়নের গাছা জনেকের বাড়ির ব্রিজ থেকে নদীতে অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান ও সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে নেট-পাটা অপসারণ কাজে অংশ নেন, খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পঙ্কজ রায়, ওসমান গনি, গনেশ বর্মণ, সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাজিমউদ্দীন, আব্দুল হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ মণ্ডল, অনিমেশ মণ্ডল, মফিদুল ইসলাম, মোন্তাজ মোড়ল, আব্দুল গনি মাস্টারসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান জানান, তেয়াশিয়া নদী দিয়ে সরুলিয়া ও খলিষখালী ইউনিয়নের বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। তেয়াশিয়া নদীর পানি শালিখা গেট দিয়ে কপোতাক্ষ নদে পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি জালালপুর ইউনিয়নের টিআরএম প্রকল্পের বেড়ী বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তেয়াশিয়া নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে তেয়াশিয়া নদীতে অবৈধভাবে নেট-পাটা দিয়ে মাছ ধরার কারণে সেখানে শেওলা জমে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পাটকেলঘাটার দক্ষিণ বিলের ও অসংখ্য মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা প্রস্ততসহ বোরো আবাদ অনিশ্চিত হওয়ার অসংখ্য দেখা দেয়।
এ কারণে কৃষকদের মঙ্গলবার ভোর থেকে তেয়াশিয়া নদীর সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথমদিনে গাছা জনেকের বাড়ির ব্রিজ থেকে দলুয়া ব্রিজ পর্যন্ত তেয়াশিয়া নদীতে সকল ধরনের অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করা হয়। এর ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দ্রুত হবে এমনটাই মনে করেন চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান। নদীর শেওলা অপসারণের কাজও চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে