ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গৃহবধূকে যৌনকর্মী হিসেবে কোর্টে চালান!

  বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:৪১  
আপডেট :
 ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:০৮

গৃহবধূকে যৌনকর্মী হিসেবে কোর্টে চালান!
ছবি- প্রতীকী

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পল্লী এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা না নিয়ে হেনস্তা করে যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেয়ায় শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

গত রোববার শিবগঞ্জ উপজেলার জান গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমারকে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্তের জন্য বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমনের সঙ্গে বাদীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। রিমনের পরিবার রাজি না থাকায় বাদী তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। বিয়ের পরও রিমন বাদীর মেয়ের সঙ্গে ফোনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। গত ২৪ নভেম্বর স্বামী বাড়িতে না থাকায় রিমন বাদীর মেয়ের বাড়িতে ঢোকেন এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

এ সময় পিরব ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বাড়িতে ঢুকে রিমন ও বাদীর মেয়েকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ওসি বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমার দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। থানায় রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরে দুজনকে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়। তবে আদালত দুজনকে জামিনে ছেড়ে দেন।

বাদীর অভিযোগ এসআই রতন কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নেয়ার পরেও ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে যৌনকর্মী হিসেবে চালান দিয়ে সমাজে তাদের সম্মান নষ্ট করেছেন। এ কারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের একটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাকে ওসি বদিউজ্জামান ও এসআই শহীদুল (১) দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেয়ায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। বাদীর আইনজীবী মো. আব্দুল বাছেদ বলেন, ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারণ আইনের ১৩ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত