ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কেমিস্ট ছাড়াই তৈরি হতো ৪৯ জাতের ওষুধ

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৩২

কেমিস্ট ছাড়াই তৈরি হতো ৪৯ জাতের ওষুধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওষুধ কোম্পানিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

নেই মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা, দেয়া আছে ওষুধের মোড়কের গায়ে মিথ্যা তথ্য শুধু তাই নয় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের প্যাকেট পরিবর্তন করে নতুন প্যাকেটে ওষুধ ভর্তি করে বিক্রিও করা হতো। ‘লরেল ভিস্তা’ নামের এমনি একটি ভূইফোঁড় ওষুধ কোম্পানির সন্ধান মিলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। যেখানে কেমস্টি ছাড়াই গবাদি পশুর জন্য তৈরি করা হতো ৪৯ ধরণের ওষুধ।

বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে ‘লরেল ভিস্তায়’ অভিযান পরিচালনা করলে বেরিয়ে আসে ওই ওষুধ কোম্পানির নানা অনিয়মের চিত্র।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালত অনুমোদনহীন ওই ওষুধ কোম্পানিকে সিলগালা ও এর মালিক কামরুল হাসান চকদারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং ওষুধ বানানোর বেশ কিছু সরঞ্জামাদি জব্দ করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাসিরনগর উপজেলার কামরুল হাসান চকদার নামে এক ব্যক্তি সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ‘লরেল ভিস্তা’ নামে গবাদি পশুর একটি ওষুধ কোম্পানি গড়ে তুলেন।

সেখানে তৈরি হতো অনুমোদনহীন ৪৯ ধরণের ওষুধ। ওই ওষুধ কোম্পানিতে নেই কোনো কেমিস্ট। ওষুধ কোম্পানির এক সময়কার বিক্রয় প্রতিনিধিই বানাতেন এসব ওষুধ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া ওই কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ‘লরেল ভিস্তা’ নামের অনুমোদনহীন এই কোম্পানিটি বাজার থেকে পাওয়া চাহিদা অনুযায়ী ৪৯ ধরণের ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করতো। অথচ এর কোনো অনুমোদন নেই।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই কোম্পানিতে কোনো কেমিস্ট পাওয়া যায়নি, মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই। কামরুল হাসান চকদার আগে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পরে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে কোম্পানিটিকে সিলগালা ও এর মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত