প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:২৩
সংবাদ সম্মেলনে দাবি
‘মানসিক নির্যাতনে আহমদ শফীর মৃত্যু’

হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু ‘মানসিক নির্যাতনের’ কারণে হয়েছে বলে দাবি করেছে তার ছেলেদের অনুসারী আলেমদের একটি অংশ।
|আরো খবর
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা। যদিও সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে।
এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন আহমদ শফী আল মাদানী।
সম্মেলনে তারা দাবি করেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা, জীবনের শেষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করতে না দেয়াসহ বিভিন্ন মানসিক নির্যাতনে আল্লামা শফীর মৃত্যু হয়েছে।
বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আহমদ শফীর মৃত্যুরহস্য উদঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উগ্রগোষ্ঠী ছাত্র-শিক্ষকদের জিম্মি করে মাদ্রাসায় অরাজকতা সৃষ্টি করে। সেই উগ্রগোষ্ঠীর কয়েক শ সদস্য এখনো হাটহাজারীতে অবস্থান করছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে রেখে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আহমদ শফীর মৃত্যুরহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের শাস্তি; তার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা; আহমদ শফীর পরিবারের সদস্য ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা বিধান; আহমদ শফীর রেখে যাওয়া অঙ্গনগুলো থেকে বিরোধীদের অপসারণ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আহমদ শফীর আরেক ছেলে আনাস বিন আহমদ শফী (আনাস মাদানী), আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার বাদী ও আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ