ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা: চার্জ গঠন ১৭ জানুয়ারি

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:১৯  
আপডেট :
 ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:২৭

ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা: চার্জ গঠন ১৭ জানুয়ারি

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের উপর হামলার ঘটনায় মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল আগামী ১৭ জানুয়ারি এ তারিখ ধার্য্য করেছেন। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর এই আদালতের বিচারক ২৯ ডিসেম্বর চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার আসামি রবিউল ইসলামকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক আগামী ১৭ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেন। পরে আসামিকে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে মামলাটি আমলী আদালত-৭ (ঘোড়াঘাট) এ তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সমস্ত মামলার নথিপত্র আদালতে জমা দেন। পরে দিনাজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালত-২, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেয়া হয়।

দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন বলেন, সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার ঘটনায় একমাত্র আসামি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ২১ নভেম্বর দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি ইমাম আবু জাফর।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম আবু জাফর বলেন, মামলার সবদিক বিবেচনা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী আসামি রবিউল ইসলাম। এজন্য তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্য যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

পুুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অভিযোগপত্রে এই মামলায় সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা, মোবাইল নেটওয়ার্ক, আলামত হিসেবে ব্যবহৃত লাঠি, হাতুড়ি, ফরেনসিক রিপোর্ট, এমই রিপোর্ট, নোকিয়া ফোন, নগদ ৪৫ হাজার টাকাসহ ৩১টি আলামত থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগপত্রে ৫৩ জনকে স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে যাদের মধ্যে ৫ জন স্বাক্ষী ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এই মামলায় প্রায় পৌনে ৩ মাসের সময়ে ৪০ জনেরও বেশি জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে সরকারি ডাকবাংলাতে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চলতি বছরের গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে ২০ সেপ্টেম্বর নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন রবিউল ইসলাম।

আরও পড়ুন-

ইউএনও’র ওপর হামলা: রিমান্ডে যে তথ্য দিলেন রবিউল

ইউএনওর ওপর হামলা: সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যা জানালো কর্তৃপক্ষ

যুবলীগের গ্রেপ্তার ২ নেতা বহিষ্কার

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত