ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৩ শতাংশ হাসপাতালে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:৩৯

১৩ শতাংশ হাসপাতালে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই
প্রতীকী ছবি

দেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালগুলোতে গড়ে প্রতি পাঁচটি বেডের জন্য একটি টয়লেট সুবিধা রয়েছে। ১২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা টয়লেট নেই। আর ১৩ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ইউনিসেফ ও ওয়াটার এইডের যৌথ জরিপে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হাইজিন সার্ভে-২০১৮ এর ফলাফল তুলে ধরা হয়। এর আগে ২০১৮ সালে এই জরিপের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল বলে জানান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক মো. মাসুদ আলম।

জরিপে বলা হয়, দেশে ৭৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের কার্যকর পানির উৎস আছে। ৭৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উন্নতমানের পানির উৎস আছে। ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসকদের জন্য পানির ব্যবস্থা আছে, ৮২ শতাংশে সাবান কিংবা গুঁড়া সাবানের ব্যবস্থা আছে। ৮৯ শতাংশ জায়গায় নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পানি আছে, ৭৭ শতাংশে সাবান কিংবা গুঁড়া সাবানের ব্যবস্থা আছে।

জরিপের তথ্য বলছে, ৩৭ শতাংশ রেস্তোঁরায় ও রাস্তায় অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোর ৩৪ শতাংশে খাওয়ার পানি হিসেবে শ্যালো টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া উভয়ক্ষেত্রের ২৯ শতাংশ দোকানে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা হয়। রান্নার ক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ রেস্তোঁরায় ও ৩৭ শতাংশ পথের খাবারে শ্যালো টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়। আর ৩২ শতাংশ পথের খাবারে ও ২৭ শতাংশ রেস্তোঁরায় গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা হয়।

জাতীয় জরিপে সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, দেশে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় স্কুলে থাকা অবস্থায় পুরনো কাপড় ব্যবহার করে ৩৪ শতাংশ এবং স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে ৬২ শতাংশ মেয়ে। আর বাসায় পুরনো কাপড়ের ব্যবহার হয় ৩৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং ৫৬ শতাংশই স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৭৯ শতাংশই পুরনো কাপড় ধুয়ে একাধিকবার ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক মো. মাসুদ আলম জানান, ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮ প্রতিবেদনে পাঁচটি পৃথক ক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলো হলো- গৃহস্থালি, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোঁরা এবং ফুটপাতের খাদ্য বিক্রেতা। এই ক্ষেত্রগুলোয় এসডিজির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সূচক, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ ইত্যাদির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, প্রমাণভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নে এ জরিপের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত