ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

নতুন আশায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৪৩

নতুন আশায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক
ছবি- প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার পর এবার কৃষকরা আমনের দাম অনেকটা ভালোই পেয়েছে। সেই আশায় লক্ষ্যে পূরণে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় ফের বোরো আবাদ শুরু করেছে।

জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ-চারা উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা।

গত মৌসুমে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি একরে প্রায় ৬০ মণ ও প্রতিমণ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে।

এদিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল কিংবা জৈব সার প্রয়োগে ব্যস্ত।

জমি চাষে ব্যস্ত কৃষক

কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পাম্পের বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন ক্ষেতে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর জেলায় ৬০ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১২ হাজার ৯৪ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৪৮ হাজার ২১৫ হেক্টর।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চাষি সিরাজাুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুণতে হয়েছে আমাদের। এবার আমন চাষে করে আমরা লাভবান হয়েছি। সেই আশায় পুরোদমে আবার বোরো আবাদ শুরু করে দিয়েছি।

পুরোদমে আবার বোরো আবাদ শুরু হচ্ছে, তোলা হচ্ছে চারা

একই এলাকার কচুবাড়ি গ্রামের বিজয় রায় জানান, গত আমন মৌসুমে ব্রী-জাতের সোনার বাংলা, ব্রী-আঠাশ, ব্রী-৫১ ও জিরাশাইল ধানের ফলন এবং বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ করতে তারা বেশি আগ্রহী। অন্যান্য বছর কোল্ড ইনজুরিতে পচন লেগে বীজচারা নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভালো হয়েছে।

সদরের ফাড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মন্টু রাম জানান, বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। বোরো ধান লাগানোর পর থেকে তিন-চারদিন পর পর সেচ দিতে হয়। আশা রাখি বোরো আবাদ করে বেশি লাভবান হবো।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দীন বলেন, জেলায় সবেমাত্র বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার গড় সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবং গভীর নলকূপগুলো সচল হলে খুব শিগগিরই বোরো ধান রোপণ শেষ হবে এবং আমরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত