পঞ্চগড়ে সেই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, আটক ২
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১৬
অপহরণের পাঁচদিন পর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ফাহিদ হাসান সিফাত (১৮) নামের কলেজ পড়ুয়া এক তরুণের লাশ উদ্ধার করছে র্যাব।
শনিবার সকালের দিকে অপহরণকারী মতিউর রহমানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উপজেলার ছোটদাপ এলাকায় মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে র্যাব। তারা হলেন- ছোটদাপ এলাকার মখলেছার ছেলে মতিউর রহমান এবং ওই এলাকার ওসমানের ছেলে লিমন।
নিহত ফাহিদ হাসান সিফাত উপজেলা ছোটদাপ এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি দিনাজপুর আর্দশ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি সিফাত। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন খোঁজ মেলেনি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বার দুটিও বন্ধ ছিল। পরদিন আটোয়ারী উপজেলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
গত ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সিফাতের নাম্বার থেকে বাবার মুঠোফোনে ফোন আসে। পাঁচ লাখ টাকা সিফাতের জন্য মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ সময় মতো না দিলে সিফাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অপহরণকারী চক্র। পরদিন দুপুরে ফোন আসে এবং সিফাতের কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। পরবর্তিতে তার বাবা বিকাশে ৮ হাজার টাকা দিয়ে দেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোনোভাবে সিফাতের সন্ধান না পেয়ে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক বরাবর ছেলেকে উদ্ধারের আবেদন করেন বাবা শফিকুল ইসলাম।
এদিকে ঘটনার র্যাব-১৩ নীলফামারী ব্যাটলিয়নের কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, নিহত সিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে উপজেলার ছোটদাপ এলাকার মখলেছের ছেলে মতিউর রহমানকে আটক করা হয়। পরবর্তিতে তার স্বীকারোক্তিতে লিমনকে আটক এবং নিহত সিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। আর যেনো আমার মতো কোনো বাবা-মার বুক খালি না হয়।
আটোয়ারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইজার উদ্দিন ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
