ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

আলোচনার বাইরে সেই দিহানের বাবা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০৭  
আপডেট :
 ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০৯

আলোচনার বাইরে সেই দিহানের বাবা
অভিযুক্ত দিহান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ফারদিন ইফতেখার দিহান। ইতিমধ্যে দুই পরিবারের অনেক তথ্য বেরিয়ে এলেও অভিযুক্ত দিহানের বাবা আব্দুর রব সরকারের সঙ্গে কথা হয়নি গণমাধ্যমের। কিন্তু এই কে এই রব সরকার?

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাসা রাজধানীর লেক সার্কাস এলাকায়। তার বাবা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুর রব সরকার। তিন ভাইয়ের মধ্যে দিহান সবার ছোট। গত বছর ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করে দিহান।

এলাকাবাসী কেউই দিহানের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বিপুল অর্থসম্পদ, ঢাকা ও রাজশাহীতে একাধিক বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক দিহানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার। তিনি তার বড় ছেলে সুপ্তসহ রাজশাহীতে থাকেন। মাঝে মাঝে ঢাকার বাসায় আসে। তবে বেশিদিন থাকেন না। মেঝ ভাই ও ছোটভাই দিহানসহ তাদের মা থাকেন কলাবাগানের বাসায়।

দিহানের বাসার কেয়ারটেকার মোতালেব জানান, বাসা ফাঁকা থাকলে মাঝে মাঝে দিহান বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসতো। তবে এমন কিছু হবে বিশ্বাসও করতে পারছি না।

জানা যায়, ঘটনার দিন দিহানের বাসায় দায়িত্বপালন করছিলেন কেয়ারটেকার দুলাল। সেদিনের এই ঘটনার পর দুলাল পলাতক আছেন বলেও জানান মোতালেব।

এসব বিষয়ে জানতে দিহানের বাসায় নক করা হলে সাড়া/জবাব পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, কয়েক বছর আগে দিহানের বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে মামলাও হয় রাজশাহীতে।

এদিকে ধর্ষণের ও হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে আটক ফারদিন ইফতেখার দিহানের তিন বন্ধুকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবুল হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে হত্যা ও ধর্ষণে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। যে কারণে মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

এসি আবুল হাসান আরো বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় যে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর ডিএনএ’র একাধিক নমুনা নেয়া হয়েছে; তা পরীক্ষার পর এই ঘটনার আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে ওই স্কুলছাত্রীর দাফন করা হয়েছে। এর আগে গোপালপুর ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নেয়া মানুষ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

এফজেড/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত