ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাবেক এমপির ভাইয়ের কারাদণ্ড, সমাজচ্যুত বাদীর পরিবার

  হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৩৯  
আপডেট :
 ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১০:০৮

সাবেক এমপির ভাইয়ের কারাদণ্ড, সমাজচ্যুত বাদীর পরিবার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চেক ডিজঅনার মামলায় হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাইয়ের সাজা হয়েছে। এর জেরে বাদীর পরিবারকে সমাজচ্যুত সমাজচ্যুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত পরিবারটিকে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে অভিযুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য বলছেন, বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের সমাজচ্যুত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাতীয়পার্টির নেতা এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু। তখন তার চাচাতো ভাই ইকরামুল ইসলাম চৌধুরী নবীগঞ্জের কুর্শি গ্রামে সাফারুন বিবি নামে এক নারীর কাছ থেকে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ৩২ শতক জমি কিনেছিলেন। জমির মূল্য হিসেবে ইকরামুল চৌধুরী সাফারুন বিবির জামাতা (মেয়ের স্বামী) লিটন মিয়াকে ৯ লাখ টাকার দুইটি চেক দেন। বাকি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা কিছুদিন পরেই দেয়ার কথা হয়। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ডিজঅনার হয়। ইকরামুল ইসলাম চৌধুরীকে বিষয়টি জানানোর পর টাকা দেয়ার ব্যাপারে টালবাহানা করেন।

চার বছর পরও টাকা না পেয়ে ২০১৮ সালে চেক ডিজঅনার মামলা করেন লিটন মিয়া। এ মামলায় সাবেক এমপির ভাই ইকরামুল ইসলাম চৌধুরীকে ১ বছর কারাদণ্ড ও ৯ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮ নভেম্বর লিটন মিয়ার পরিবারকে একঘরে করে দেন সাবেক এমপি। তিনি এলাকায় সালিশ বসিয়ে তাদের সমাজচ্যুত করে রাখেন।

সাফারুন বিবি ও তার জামাতা লিটন মিয়া জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে এলাকার কেউ তাদের সঙ্গে কথা বলেন না। রাস্তাঘাটে চলাচলেও বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়। পরিবারে থাকা শিশু-কিশোরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, একটা পরিবারকে সমাজচ্যুত করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অমানবিক। ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বলে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সেখানে হস্তক্ষেপ করে দ্রুত পরিবারটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে।

তবে সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী বাবুু বাাংলাদেেল জার্নালকে বলেন, লিটন মিয়া, তার বাবা ও দাদা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাই এলাকাবাসী তাদের একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন- কোটালীপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত ৬টি ঘর, পুড়ল ৩টি গরু

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত