ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেসরকারি উদ্যোগে টিকা দিতে তৈরি হচ্ছে নীতিমালা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৫  
আপডেট :
 ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:২৬

বেসরকারি উদ্যোগে টিকা দিতে তৈরি হচ্ছে নীতিমালা
ছবি- প্রতিনিধি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন বেসরকারি উদ্যোগে করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি এবং কিভাবে প্রয়োগ হবে তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নীতিমালার মধ্যে সবকিছু থাকবে। তারা কিভাবে দিবে, কিভাবে হিসাব রাখবে, কি দামে দিবেন- এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেবেন। এটাও ঠিক করে দেওয়া হবে হাসপাতালের মাধ্যমে, কোন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।

জাহিদ মালেক বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের টিকা রাখার স্টোরেজের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ বা আনসার এর নিরাপত্তায় থাকবে। এটাও বলেছি টিকা যেখানে রাখা হবে সেখানে ফ্রিজটা যেন সঠিকভাবে চালু থাকে। বিদ্যুৎ যেন ঠিকমতো থাকে সেদিকেও নজর রাখা হবে।

দেশে ১৪ থেকে ১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের ‌(স্বাস্থ্যখাত) হাতে রয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, দেশে ৪ থেকে ৫ কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগে কোন সমস্যা হবে না।

ভ্যাকসিন প্রদানে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‍“পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালে ৫ থেকে ১০টি আইস ফ্রিজার আছে, যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে বর্তমানে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন প্রদানে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে, সেজন্যও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।

ভ্যাকসিন প্রদানে প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। একই সাথে সরকারিভাবে টিকা প্রদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারবে।

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টিকা প্রয়োগ শুরুর কতাহ রয়েছে।

আরও পড়ুন- শুধু দমন নয়, স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চাই জঙ্গিদের

বাংলাদেশ জার্নাল/আর/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত