ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

দে‌শে গণমাধ্য‌মের বিশাল ক্যানভাস: নৌপ্র‌তিমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:৩৩

দে‌শে গণমাধ্য‌মের বিশাল ক্যানভাস: নৌপ্র‌তিমন্ত্রী
ছবি: প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দে‌শে গণমাধ্য‌মের বিশাল ক্যানভাস র‌চিত হ‌য়ে‌ছে ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা ব‌লেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে যে গণমাধ্যমের বিশাল ক্যানভাস রচিত হয়েছে বাংলাদেশে, সেটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই। ১৯৯৬ সালে, যখন তিনি প্রথমবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখনই বেসরকারি পর্যায়ে টেলিভিশন উন্মুক্ত করেছিলেন। তার আগে সরকারি ছাড়া কোন টেলিভিশন বাংলাদেশে ছিলনা। সেখান থেকে যাত্রা শুরু। আজকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শত শত দৈনিক পত্রিকা। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়; উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকা বের হচ্ছে।

গণমাধ্যম এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা এখন গণমাধ্যমে যুক্ত হচ্ছেন এবং তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। গণমাধ্যমের এই বিস্তৃতি শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই নয়; এটা আঞ্চলিক থেকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অনেক সাংবাদিক আছেন, যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন গণমাধ্যমে অত্যন্ত মেধার স্বাক্ষর রেখে কাজ করছেন।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম উন্মুক্ত দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সত্য লেখার কারণে অনেক সাংবাদিককেই এই বাংলাদেশে জীবন দিতে হয়েছে। সত্য বলার জন্য অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকেই নিপীড়িত হয়েছেন, অনেকেই লাঞ্ছিত হয়েছেন। আবার এই গণমাধ্যমই কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি বিকৃতভাবে ইতিহাসকে উপস্থাপন করার জন্য অনেক সময় গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। পঁচাত্তরের পর অনেক গণমাধ্যম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম লিখতে ভয় পেত। তার নাম লিখতে দেয়া হতোনা। সামরিক জান্তারা- জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা- বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত গণমাধ্যমে লিখতে দেয়নি, বলতে দেয়নি। এ সময়ে বাংলাদেশের টেলিভিশনে কখনো জাতির পিতার নাম উচ্চারিত হয়নি। এইতো ছিল আমাদের অবস্থা! সেই জায়গা থেকে এখন সমগ্র বাংলাদেশ আজকে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। কেউ কোনকিছু গোপন করার কোন সুযোগ নাই। এরকম একটি পর্যায়ে আজকে বাংলাদেশ আছে। আমি জানিনা, এইযে গণমাধ্যম বিশাল বিস্তৃতি লাভ করেছে, এই বিস্তৃতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে। আমরা নিশ্চয়ই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তদানের কথা ধারন করব। যেসব নারীরা আত্মত্যাগ করেছেন, আমরা তাদের আত্মত্যাগকে ধারন করব। আমাদের সকলের দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ায় দায়িত্ব পালন করা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত