নৈরাশ্যবাদীদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০০ আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১০
কিছু মানুষ আছে সবসময় নৈরাশ্যবাদী, তাদের মানসিক চিকিৎসা দরকার বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
রোববার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি র্যাবের কাছে ৯ জঙ্গির আত্মসমর্পণ ঘিরে সমালোচনা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জঙ্গি আত্মসমর্পণের ঘটনায় অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলার চেষ্টা করছেন, কোথাও তো জঙ্গি নেই, আত্মসমর্পন করলো কারা? এখনও জঙ্গি আছে সেটা প্রমাণের জন্য কী তাদের বোমা ফাটাতে দেবো? মানুষ হত্যার সুযোগ দেবো? যদি প্রতি মাসে বা সপ্তাহে আমরা জঙ্গি গ্রেপ্তার না করতাম তাহলে দেখতেন কী হতো।
এসময় বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, শেষ জঙ্গি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এখানে আত্মতুষ্টির কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের শেষ শেকড়-বাকড়টি উপড়ে ফেলতে চাই।
মহামারি করোনার মধ্যে জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিল উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও সামনের সারিতে থেকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। ভৌগলিকসহ নানাবিধ কারণে জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে টার্গেট করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স এবং এই দেশের শান্তিপূর্ণ মানুষের জঙ্গিবাদবিরোধী অবস্থানের কারণে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
তিনি জানান, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেশ নাড়া দেয়। তবে এর পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি আমরা বেশ সাফল্যের সঙ্গে মোবাবিলা করেছি। যে নেটওয়ার্কটি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সেটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডিসমেন্টাল করে দিতে পেরেছি। এমনই একটা প্রেক্ষাপটে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এটিকে একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য জঙ্গিবাদের এই শকুনের থাবা যেন কোনোভাবেই বিস্তার না করতে পারে।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রেখেছে। এ জন্য প্রতিটি ইউনিটের আলাদা সাইবার ইউনিট রয়েছে। এর ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদবিরোধী সরব উপস্থিতি অব্যাহত রাখতে প্রতিটি ইউনিটকে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম