ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ত্রিপক্ষীয় বৈঠক

চলতি বছরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৭

চলতি বছরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা

চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকের পর চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেড় ঘণ্টা ধরে সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুইয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী হাউ দো সুয়ান।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এখন অনেক ফ্যাক্টরস আছে, এসবগুলো ফ্যাক্টরস মাথায় রেখে, ইতোপূর্বে যেহেতু দুইটা ডেট দিয়ে আমরা সফল হতে পারিনি, এখন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, সেই চেষ্টাই থাকবে আমাদের। আমরা সিনসিয়ারলি এঙ্গেজড থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কশাসলি অপটিমিস্টিক, আমাদের ডিপ্লোমেটিক ভাষায় বলে- আমরা চেষ্টা করে যাব, উইথ অল আওয়ার হার্ট অ্যান্ড সউল।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়, সেখানে ১০ লাখের বেশিমানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন বাচ্চাও জন্মগ্রহণ করেছে। সুতরাং এই টোটাল নম্বরটা বাড়তে থাকবে, অনেক জটিলতা আসতে থাকবে। দ্রুত শুরু করাটার বিকল্প নাই।

বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংটা হবে এবং সেটার ব্যাপ্তি কিছুটা বাড়বে। আগে আমাদের ডিজি লেভেলের সঙ্গে চীন ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থাকতেন। এটাকে বড় করে মিয়ানমারের নে পি দোতে ডিজি আছেন এবং বেইজিংয়ে ফরেন মিনিস্ট্রিতে যে যে ডিজি আছেন, উনারাও সংযুক্ত হবেন।

দুই দেশের ডিজিদের মধ্যে একটা হটলাইন চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এটা হবে। যাতে করে যে কোনো ধরনের ছোটোখাটো চ্যালেঞ্জ থাকলে, তারা নিজেরা কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবে।

ছয় দফায় মোট ৮ লাখ জন রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সরকার, যার মধ্যে ৪২ হাজারের ভেরিফিকেশন করেছে মিয়ানমার। এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভেরিফিকেশেনর যে ইস্যুটা আছে, সেটা যাতে আরও ত্বরান্বিত হয়, সেটা বলেছি। এটা সাইড বাই সাইড চলতে থাকে।

গ্রাম বা অঞ্চলভিত্তিক প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শেষের দিকে একটা ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ে পাইলট আকারে (প্রত্যাবাসন) করার কথা ছিল। আমরা সেটার ভিত্তিতে গ্রামভিত্তিক বা এলাকাভিত্তিক ব্যাচ বলি, সেটার আলোকে শুরু হবে। যদিও তাদের দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা হয়ত থাকতে পারে, প্রস্তাবের। তারা বলেছে যে নমনীয়তা দেখাবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থে নমনীয়তা দেখানো উচিৎ।

রাখাইনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক অংশগ্রহণে চীনের দিক থেকে বক্তব্য এলেও মিয়ানমার এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত