ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

নড়াইলে ধুমপানবিরোধী রোড পেইন্টিং

  নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৫

নড়াইলে ধুমপানবিরোধী রোড পেইন্টিং
ছবি- প্রতিনিধি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধের সচেতনতায় নড়াইল পৌরসভায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় ধুমপানবিরোধী রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের এইড ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের (বাটা) প্রতিনিধি সংগঠন স্বাবলম্বী’র যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এ সময় নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নড়াইল টেকনিক্যাল কলেজ ও স্কুল, আব্দুল হাই সিটি কলেজ ও পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন করা হয়।

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ‘রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন’ এর উদ্বোধন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছায়েদুর রহমান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহিতোষ কুমার দে ও অন্যান্য শিক্ষক-ছাত্রদের উপস্থিতিতে জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুল ক্যাম্পাসে ধুমপানবিরোধী বোর্ড স্থাপন করেন।

এইড ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় স্বাবলম্বী সংস্থার সযোগিতায় নড়াইল টেকনিক্যাল কলেজ ও স্কুলের সামনে ‘রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন’ এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ মীর মুস্তাক মাহমুদ। এ সময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্কুল ক্যাম্পাস ধুমপানবিরোধী বোর্ড স্থাপন করা হয়।

আব্দুল হাই সিটি কলেজের সামনে ‘রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন’ এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক। এ সময় নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী জহিরুল হক তার স্কুল ধুমপানমুক্ত রয়েছে বলে জানান এবং ভবিষ্যতে তা অব্যহত রাখার ঘোষণা দেন।

একই দিনে এসব কর্মসূচির সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাটা প্রতিনিধি সংস্থা নড়াইলের স্বাবলম্বী’র পরিচালক কাজী আনিসুজ্জামান, এইড ফাউন্ডেশনের অত্র প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দীন বিশ্বাস, স্বাবলম্বীর ভলেন্টিয়ার স্টুডেন্ট রুবেল হোসেন, নাঈমসহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকগণ।

উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার সদর পৌরসভায় ঝিনাইদহের এইড ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি বাটা প্রতিনিধি সংগঠনের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল পৌরসভায় ২০ মাসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সার্ভে করে ৩৮৬টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি হয় এমন দোকান চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সার্ভের রিপোর্টটি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পৌরসভার মেয়রের নিকট হস্তান্তরও করা হয়েছে।

এ সার্ভে রিপোর্টে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে- তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কী কী লঙ্ঘন হচ্ছে তার ওপর এবং সেটি দেখে যেন দ্রুত আইন প্রয়োগ সম্ভব হয়। এছাড়া একটি পর্যায়ে পৌরসভাসমূহ প্রতিটি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করে এমন দোকানগুলোকে একটি লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার মধ্যে এনে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত