মুক্তিপণ না পেয়ে প্রবাসীর শিশু সন্তানকে হত্যা
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৯
বগুড়ার গাবতলী উপজেলা পল্লী এলাকায় অপহরণের ৪০ দিন পর মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর শিশু সন্তান হানজালাকে (৬) হত্যা করা হয়েছে।
অপহরণের পর নিহত হানজালার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও থানা পুলিশ শিশুপুত্র হানজালাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
অপহরণের পর হত্যার শিকার শিশুপুত্র হানজালা গাবতলী উপজেলা রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের নিশুপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী পিন্টু মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফসহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তবৃন্দ।
অপহরণের প্রায় ৪০ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা যে মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চেয়েছিল, সেই একই নাম্বার থেকে শিশুপুত্র হানজালার মাকে ফোন করে বলা জানানো হয়, টাকা না দেয়ায় হত্যা করে বাড়ির পাশে পুকুরে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পলিথিনে মোড়ানো ইট দিয়ে বেঁধে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখা শিশু হানজালার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অপহরণের পর হত্যার শিকার শিশুপুত্র হানজালার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির পাশ থেকে শিশু হানজালা নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও শিশু হানজালার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ওইদিনই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবারের সদস্যারা।
শিশুপুত্র হানজালা অপহরণের খবর পেয়ে দুইদিন পরেই মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন বাবা পিন্টু মিয়া। অপহরণের পর হানজালার মাকে মোবাইলে ফোন করে প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা তারপর তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে হানজালাকে হত্যা করা হবে বলেও জানায় তারা।
শিশুপুত্র হানজালার বাবা-মা অপহরণকারীর মোবাইল নাম্বার নিয়ে থানায় ধর্না দেয়। কিন্তু প্রায় ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও শিশুটিকে উদ্ধার বা অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর থেকেই কয়েক দফা মোবাইলের সিডিআর বের করা হয়েছে। তারপর শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের করতে চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে