ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার রায় ৪ ফেব্রুয়ারি

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৩

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার রায় ৪ ফেব্রুয়ারি
ছবি- প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৪ জনের জামিন বাতিল করে হাজতে পাঠানো হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

বুধবার বিকালে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জামিন বাতিল হওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন কলারোয়ার দুইবারের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. আব্দুস সামাদ, তিনজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, রকিবুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

এ মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন আসামির একজন টাইগার খোকন অন্য মামলায় জেলহাজতে আটক রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ১৫ জন।

এর আগে আজ ষষ্ঠ দিনের মতো রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। এতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, সহকারী এটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা এবং সাতক্ষীরার পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।

অপরদিকে আসামিপক্ষে অংশ নেন অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. আব্দুস সেলিম, অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষের এসএম মুনীর আদালতে ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি তুলে ধরে বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে সকল আসামি দোষী প্রমাণিত হয়েছে।

সাক্ষীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ওপর বারবার প্রাণনাশ চেষ্টায় হামলা হয়েছে। কলারোয়ার ঘটনা তারই অংশবিশেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে সব আসামি দোষী প্রমাণিত হয়েছে। ন্যায়বিচার হলে সকল আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন।

অপরদিকে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল ও অ্যাড. আব্দুল মজিদ বলেন, মামলার এজাহার, পুলিশের অভিযোগপত্র এবং সাক্ষীদের জবানবন্দির মধ্যে তথ্যগত ব্যাপক গরমিল ও অসংলগ্নতা রয়েছে। সাক্ষীরা কোনভাবেই আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে পারেননি। ন্যায়বিচার হলে সকল আসামি খালাস পাবেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় ধর্ষণের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলারোয়ায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী, আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল এবং শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। একই সময় সাতক্ষীরার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।

এ ঘটনায় কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন ২৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। থানায় এ মামলা রেকর্ড না হওয়ায় তিনি নালিশি আদালতে মামলাটি করেন। পরবর্তীতে এ মামলা খারিজ হয়ে গেলে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ফের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত