ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধামরাইয়ে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

  ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১৪

ধামরাইয়ে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ছবি: প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে তীব্র যানজটের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। দশ মিনিটের রাস্তা যেন দশ কিলোমিটার হয়ে দাঁড়ায়। যানজট একটি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রতিদিন ধামরাইয়ের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্নোটেকস নামে একটি পোশাক তৈরির কারখানার গাড়ি পার্কিং এর কারণে এই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

তীব্র যানজটের দৃশ্য চোখে পড়ে প্রতিদিন সকাল ৭টা ও বিকেল সাড়ে ৫টায় এবং রাত সাতটার দিকে। সকালে কারখানায় শ্রমিক প্রবেশের সময় এবং বিকেল ও রাতে কারখানা ছুটির সময় এই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্নোটেকস পোশাক কারখানার শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য গাড়ি নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং না করে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে রেখে দেয়ায় কারখানা ছুটির সময় দু’পাশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে যানজট লেগে যায়। এতে দশ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা।

একদিকে রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে যার ফলে রাস্তা অনেকটাই সংকীর্ণ হয়ে গেছে। অপরদিকে, স্নোটেকস কারখানার প্রায় শতাধিক গাড়ি রাস্তার পাশ দিয়ে পার্কিং করে রাখা হয়। ফলে প্রতিদিন কারখানা ছুটির পর রাস্তায় তীব্র যানজট লেগে যায়। যার ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে।

যাত্রীরা বলেন, স্নোটেকস পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি তাদের শ্রমিকদের বহনের গাড়ি সঠিকভাবে পার্কিং করে তাহলে প্রতিদিন এই যানজট লাগবে না। সাধারণ মানুষেরও ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। কি কারণে তারা মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে রাখে। যার কষ্ট ভোগ করতে হয় সাধারণ জনগণের।

শরিফুল নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিদিন স্নোটেকস কারখানার সামনেই শুধু যানজট সৃষ্টি করে থাকে। তাদের শ্রমিক পরিবহনের গাড়িগুলো সঠিকভাবে পার্কিং করলে আর কোনো যানজট লাগবে না। সাধারণ জনগণের আর ভোগান্তির শিকার হতে হবে না।

স্নোটেকস গার্মেন্টস ধামরাইয়ের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থানের প্রতিষ্ঠান।এখানে প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক কাজ করেন প্রতিদিন। কিন্তু সকালে যখন অফিস শুরু হয় এবং বিকেল হতে রাত্রিকালীন বিভিন্ন সময়ে ছুটি হয় অফিস স্টাফসহ শ্রমিকদের। তখন গণহারে সড়কে যান চলাচল করে। কোনো নিয়ম কানুন না থাকায় সড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া স্নোটেকস গার্মেন্টস এর পাশে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের উপড়ে বিভিন্ন লক্কড় জক্কর, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং থ্রি হুইলার রাখার ফলে দীর্ঘসময় যানজটে বসে থাকতে হয় দূরদূরান্তের যাত্রীদের। সাধারণ জনগণের অবস্থা নাকাল।

এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সভাপতি মো. নাহিদ মিয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় থানা পুলিশের তেমন কোনো হস্তক্ষেপ পাওয়া যায়নি। আমরা বিভিন্ন সময়ে সড়কে শৃঙ্খলায়নে কাজ করলে মাঝে মাঝে এ সমস্যার ক্ষণিকের জন্য সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। তবে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী যদি পোশাক শ্রমিকদের রাস্তা পারাপারে নিয়মে চলার বিষয়টি অবগত করা হয় এবং তাদের শ্রমিকদের জন্য যাতায়াতের সুব্যবস্থার জন্য একটি পার্কিং ব্যবস্থা অতিদ্রুত করেন তাহলে অবশ্যই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি।

স্নোটেকস পোশাক কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জয়দুল ইসলামকে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি স্নোটেকস পোশাক কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত