ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সব মহল্লায় পানির বিল এক কেন?

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:২৬

সব মহল্লায় পানির বিল এক কেন?

অভিজাত ও সুবিধাবঞ্চিত মহল্লায় একই অংকের পানির বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসার গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সব এলাকায় পানির বিল এক হওয়া যৌক্তিক নয় বলে তিনি জানান, রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে। তুলনামূলক কম উন্নত এলাকাগুলোতে অনেক সুযোগ-সুবিধা নেই। আবার নগরের উচ্চবিত্ত ও উচ্চআয়ের মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি, দরিদ্র মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ কম। সে হিসেবে সব মহল্লায় পানির বিল একই হবে না।

তাজুল ইসলাম বলেন, যাদের আয় কম তাদেরকে কম ট্যাক্স দিতে হয়। যাদের আয় বেশি, তাদের বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। এই ধারণা থেকে পানির বিল সব জায়গায় যদি সমান হয়, গুলশানে যে বসবাস করে সেখানে অনেক বেশি সুবিধা। কিন্তু দরিদ্র এলাকায় বসবাসকারীদের সুবিধা কম। কিন্তু দুই এলাকার পানির বিল এক। এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। সব জায়গায় পানি দাম একই হবে কেন?

তিনি বলেন, গন্ধর্বপুরের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘সারফেস ওয়াটার’ বা নদীর পানি পরিশোধন করে পান উপযোগী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। যা ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানী ও আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করা হবে।

‘ঢাকা এনভায়রোমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’ নামে এই প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি ঢাকায় সরবরাহ করা যাবে।

প্রকল্প ব্যয় সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কিছু যৌক্তিক কারণ আছে। ২০১৩ সালে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্প ২০২০ সাল পর্যন্ত এসেছে। এ সময়ের মধ্যে অনেক জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ফলে প্রকল্প ব্যয় বাড়ে। ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এক্ষেত্রে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক আবুল কাসেম, প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, ডিরেক্টর টেকনিক্যাল শহিদ উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত