ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগে দুই পুলিশ কারাগারে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:৪৫

মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগে দুই পুলিশ কারাগারে
এএসআই মোশারফ হোসেন ও কনস্টেবল ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশসহ সীমান্তের দুই দেশের মাদক কারবারিদের সাথে যোগাযোগের অভিযোগে পঞ্চগড় পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজনের নামে মামলা করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ওই মামলায় পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সে কর্মরত এএসআই মোশারফ হোসেন (৪০) ও কনস্টেবল ওমর ফারুককে (২৪) গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতেই দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেছে ওই থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া এলাকার মাদক কারবারি আমিরুল ইসলাম (৪৫) ও মাসুদ নামে এক ব্যক্তি। মাসুদের ঠিকানা ও পরিচয় নেই এজাহারে।

পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল হোসেন বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের সাথে মাদক কারবারিদের যোগাযোগ ছিল। পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন ও ওমর ফারুককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সে কর্মরত এএসআই মোশারফ হোসেন, কনস্টেবল ওমর ফারুক ও মাসুদ নামের এক ব্যক্তিসহ রোববার রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা মোমিনপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক কারবারি আমিরুলের সাথে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতের সিপাইপাড়া এলাকার মাদক কারবারি ভুট্টুর বাড়িতে যায়। সেখানে কোনো বিষয় নিয়ে ভুট্টুর সাথে তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পুলিশ সদস্য ভুট্টুর হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে নিয়ে আসতে চাইলে ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে আটক করে মারধর করে। বাকিরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে পার্শ্ববর্তী চানাকিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

রাতেই পুলিশ হাড়িভাসার টেনশন মার্কেট থেকে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। সোমবার সন্ধ্যায় ওমর ফারুককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত এনে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজিবি।

অন্যদিকে আগে থেকেই পুলিশের নজরবন্দি ছিলেন এএসআই মোশারফ হোসেন। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, ওই দুই পুলিশ সদস্যের সাথে সীমান্তের মাদক কারবারিদের যোগাযোগ রয়েছে। তারা মাঝেমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত করতেন। সূত্র: কালেরকন্ঠ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত