ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ষণের মামলায় গাফিলতি

ক্ষমা চাইলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ও এসপি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:১২  
আপডেট :
 ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:২০

ক্ষমা চাইলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ও এসপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১১ বছর বয়সী আরেক ছেলে শিশুর বিরুদ্ধে করা মামলায় নির্যাতনের শিকার শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষায় ভিন্ন প্রতিবেদন দেয়ায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার। পরে সিভিল সার্জনসহ ৯ চিকিৎসক এবং এসপিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চে হাজির হয়ে ক্ষমা চান তারা।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম, চিকিৎসদের পক্ষে আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূইয়া এবং আসামির পক্ষে হাই কোর্ট থেকে নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের আইনজীবী কুমার দেবুল দে এ সময় আদালতে ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল পরে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১১ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছে।

৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর তার বাবা এক ছেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা করেন। মামলায় তার বয়স ১৫ বছর উল্লেখ করা হলেও ডাক্তারি পরীক্ষায় ১১ বছর বয়স নির্ধারিত হয়।

এর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে বিপরীতমুখী প্রতিবেদন দেয়া হয়। ওই মামলার আসামি শিশুটিরর জামিন আবেদনের উপর শুনানিতে দাখিল করা নথিতে ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে এসব অসামঞ্জস্যতা এবং মামলার তদন্তে গাফিলতির কথা থাকায় সিভিল সার্জনসহ নয় চিকিৎসক এবং পুলিশ সুপারসহ তিন কর্মকর্তাকে তলব করে আদালত।

আদালতের তলবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট নয় চিকিৎসক এবং নাসিরনগর থানার ওসি এটিএম আরিফুল হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো, আরিফুর রহমান সরকার হাজির হন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত