ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

৫০ লট আমদানি পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস

  মনির ফয়সাল

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:১২

৫০ লট আমদানি পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস
ছবি- প্রতিনিধি

চলতি বছরের চতুর্থ নিলামের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডের ৫০টি লট নিলামে তোলা হচ্ছে। আগামী রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

এই নিলামের মোট ৫০টি লটের মধ্যে রয়েছে ৯ কন্টেইনারে থাকা ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের ১৮০টি তিন চাকার পিয়াজিও এপিই সিএনজি ট্যাক্সি, ৯ লট কম্বল, পলেস্টার, নিট, রেয়ন ও ডেনিমের প্রায় ৫৭ টন গার্মেন্টস কাপড়, ফার্নিচার, খালি প্লাস্টিক বোতল, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার, স্টিকার ও সিকিউরিটি ট্যাগ, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার ও ক্লিপ, ওয়াল টাইলস, মেশিনারিজ, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, রেকসিন ক্লথ ইত্যাদি।

কাস্টমসের নিলাম শাখা জানায়, নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে। বিক্রি কার্যক্রম চলবে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র জমা দেয়া যাবে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিলামের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত। দুপুর আড়াইটায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে।

নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ পাওয়া যাবে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন প্রধান কার্যালয়, ৩০৬, স্ট্যান্ড রোড, মাঝিরঘাট, চট্টগ্রাম এবং বন্দর স্টেডিয়াম এর বিপরীতে কাস্টম অকশন শেড থেকে। এছাড়া ঢাকার দরদাতারা ৮০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ঠিকানা থেকেও ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে।

এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দপ্তরেও দরপত্র জমা দেয়া যাবে।

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কেউ এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে।

এছাড়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিন সার্টিফিকেটের কপি অবশ্যই দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে বর্ণিত নিলাম সংক্রান্ত সকল শর্তাদি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

এ বিষয়ে নিলাম পরিচালনাকরী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন এর ম্যানেজার (নিলাম শাখা) মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, চলতি বছরের চতুর্থ নিলামে ৫০ লট পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি কার্যক্রম চলছে। এছাড়া আগ্রহী দরদাতারা নির্ধারিত সময়ে পণ্যগুলো দেখে নেয়ার সুযোগও পাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার চট্টগ্রাম ও ঢাকায় একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, এবার ৫০টি লটের নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮০টি সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তৃতীয় নিলামে প্রায় ৮৫৮ টন পেঁয়াজসহ মোট ৫২ লট পণ্য ক্রয়ের জন্য মোট ১৮১টি দরপত্র জমা দিয়েছে দরদাতারা। এরমধ্যে চট্টগ্রামে জমা পড়েছে ১৬২টি এবং ঢাকায় জমা পড়েছে ১৯টি। তবে জমা পড়া এসব দরপত্রের মধ্যে পরিপূর্ণ শর্ত পালন না করায় ৩টি আবেদন বাতিল করা হয়। এই নিলামের মোট ৫২টি লটের মধ্যে ৫টিতে ছিল ৮৭৮ টন পেঁয়াজ। যার বেশিরভাগই তুরস্ক থেকে আমদানি করা। এছাড়াও নিলামের ৩টি লটে মোট ৫ হাজার ২৯৯ কার্টনে আছে জাপানে তৈরি প্রায় সাড়ে ২৮ টন শিশুদের ডায়াপার। অন্যান্য লটগুলোতে আছে পলেস্টার, নিট ও রেয়ন ফেব্রিক্স, স্টিল ফার্নিচার, পারফিউমের খালি জার, ড্রাইসেল ও পেনসিল ব্যাটারি, গুঁড়োদুধ, হিমায়িত মাছ, মাল্টা ফল, প্রসাধনী, হ্যাঙ্গার, পাইপ মেশিন, আর্ট কার্ড, মেনথল ও বিভিন্ন কেমিক্যাল।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস হাউজ। আর নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে খালাস না করলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আনা জব্দ করা পণ্যও নিলামে তোলা যায়।

সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার বিধান থাকলেও এটা কখনো কার্যকর করতে পারেনি কাস্টমস। নিলামটি সম্পন্ন হলে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয় বাড়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত