ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

কলেজের প্রায় ৩ কোটি টাকা শিক্ষকের পেটে!

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:৪৩

কলেজের প্রায় ৩ কোটি টাকা শিক্ষকের পেটে!
ছবি- প্রতিনিধি

দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মনজুর আলমের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীর ব্যানারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দেয়া হয়।

সাধারণ শিক্ষকরা অধ্যক্ষ মনজুর আলমের যাবতীয আয়-ব্যয়ের হিসাব, নিয়ম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অনুসন্ধান সরবরাহকৃত হিসাব পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন ২০২০ পর্যালোচনা করে পেশ করে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, অডিট প্রতিবেদনে দেখা গেছে কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর আলম ও অফিস সহকারি নির্মল চন্দ্র দেব শর্মা যোগসাজশে রশিদ এর মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ ক্যাশবুকে না দেখিয়ে মূল রশিদ এর টাকার পরিমাণ কার্বন কপি পরিবর্তনের মাধ্যমে কলেজের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাৎ করে যা সেতাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষণ তথ্যে উঠে এসেছে।

জানা যায়, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ৭ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীন অডিটে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। যার প্রতিবেদন ৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পালের নিকট দাখিল করে। পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে অনার্স বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষকসহ ৭০ জন শিক্ষকের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা বকেয়া আছে।

এ বিষয়ে অনার্স ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ কলেজের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি কলেজের ফান্ড শুন্য করে অনার্স বিভাগের শিক্ষকদের বকেয়া বেতন দিতে গড়িমশি করছেন। তার ফলশ্রুতিতে তার অপসারণসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুচনা করা হলো।

গত তিনদিন ধরে সাধারণ শিক্ষক ও কর্মচারীর ব্যানারে শতাধিক শিক্ষক এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মঞ্জুরের অপসারণ ও সঠিক সরকারিভাবে অডিট করে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দাবি জানান।

এদিকে প্রায় ৩৫ জন ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষক বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীন অডিটে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমি পুনঃতদন্তের জন্য কলেজের সভাপতি বরাবরে আবেদন করেছি।

তিনি আরো বলেন, অর্নাসের শিক্ষকদের ২-১ মাসের বেতনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া আমি যদি কলেজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকি তাহলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নিবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত