কাল সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীর
স্বল্পোন্নত দেশ: স্বপ্নযাত্রায় প্রথম ধাপ উত্তীর্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:১৬ আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:০৩
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এ উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এই সংবাদ সম্মেলন হবে। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে এলডিসি থেকে বের হয়ে পূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিলতে বাংলাদেশকে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। সাধারণত সিডিপির সুপারিশের তিন বছর পর চূড়ান্ত স্বীকৃতি মেলে। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি সিডিপির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ আরও দুই বছর সময় চেয়েছে। সিডিপি বাংলাদেশের সেই অনুরোধ রেখে সুপারিশ করলে ২০২৬ সালে চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিলবে। ওই বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেবে।
ষাটের দশকে স্বল্পোন্নত দেশের ধারণাটি আসে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উন্নয়নশীল ও উন্নত—এই দুই শ্রেণিতে সব দেশকে ভাগ করে থাকে জাতিসংঘ। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যে দেশগুলো তুলনামূলক বেশি পিছিয়ে আছে, তাদের নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে জাতিসংঘ। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়।
বর্তমানে ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশ আছে। এই পর্যন্ত মালদ্বীপসহ মোট পাঁচটি দেশ এলডিসি থেকে বের হয়েছে। ওই পাঁচটি দেশের মধ্যে বতসোয়ানা ও ইকোইটোরিয়াল গিনি শুধু মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করে এলডিসি থেকে বের হয়েছে। অন্য দুটি সূচকে কখনোই নির্ধারিত মান অর্জন করতে পারেনি। আবার মালদ্বীপ, সামোয়া ও কেইপ ভার্দে—এই তিনটি দেশ অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে মান অর্জন করতে পারেনি।
আরও পড়ুন- টিকা নিলে ‘পজিটিভ’ হওয়ার আশঙ্কা নেই
বাংলাদেশ জার্নাল/আর