ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুর্গম এলাকায় হুজি’র ট্রেনিং করাতো তারা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২১, ১৭:০৭

দুর্গম এলাকায় হুজি’র ট্রেনিং করাতো তারা
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি) এর অপারেশন শাখার প্রধানসহ ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ (সিটিটিসি)।

সিটিটিসির সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী এর সক্রিয় সদস্য। তারা মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী পুনর্গঠন, পূর্ণাঙ্গ শুরা কমিটি প্রস্তুতকরণ, সংগঠনের অর্থ দাতা এবং সদস্যদের কাছ থেকে অর্থের যোগান নিশ্চিতকরণ, ব্যাপকহারে সংগঠনের রিক্রুটমেন্টকরণ, অস্ত্র সংগ্রহ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ, কারাগারে আটক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের জামিনের ব্যবস্থাকরণ, বান্দরবান-নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় জমি লিজ নিয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার কাজে নিয়োজিত ছিলো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মো. মাইনুল ইসলাম ওরফে মাহিন ওরফে মিঠু ওরফে হাসান, শেখ সোহান স্বাদ ওরফে বারা আব্দুল্লাহ ও মুরাদ হোসেন কবির।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ টি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি মাইক্রোফোন, ১টি চাপাতি, ২টি ছোড়া, ১০টি ডেটোনেটর, ১৭০টি বিয়ারিং লোহার বল, ১টি স্কচটেপ, ৫ লিটার এসিড, ৩টি আইডি কার্ড ও ১টি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, তারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় তাদের সংগঠনের বিস্তার ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন পরিচয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। তারা কারাগারে আটক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফর ও ২০০০ সালের কোটালিপাড়ায় তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানের নির্দেশে সাংগঠনিক কাজ চালাচ্ছিলো।

গ্রেপ্তারকৃত মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত নিষিদ্ধ সংগঠন হুজি’র প্রধান অপারেশন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলো। সে সাংবাদিকতার বেশ ধারণ করে সংগঠনের দাওয়াতি কাজ, অর্থ সংগ্রহ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করতো। তার পরিকল্পনা ছিলো ঢাকা শহরে বড় ধরনের নাশকতা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা। সে ২০১৫ সালে হুজি’র শীর্ষ নেতা কারাবন্দি মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলো।

অপর গ্রেপ্তারকৃত সোহান স্বাদ সুনামগঞ্জের বিবিয়ানা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। সে ঢাকায় মিরপুর বাংলা কলেজে পড়ার পাশাপাশি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতো। ২০১৬ সালে একুশে বই মেলায় নাশকতার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়। এছাড়াও সে ২০১৭ সালে বিস্ফোরক মামলায় এবং ২০১৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়। জামিনে বের হয়ে সে মাইনুলের নেতৃত্বে হুজির সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করতো।

এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত মুরাদ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী’র সক্রিয় সদস্য। সে ব্যবসার আড়ালে হুজি সংগঠনের দাওয়াতি ও বায়তুল মালের দেখভালের দায়িত্ব পালন করতো।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরো পড়ুন: ‘হুজির প্রধান অপারেশন সমন্বয়কসহ’ গ্রেপ্তার ৩

এফজেড/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত