প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২১, ১৪:৫৪
শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার চরে হঠাৎ ভাঙন
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ করে পদ্মা নদীর চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অন্তত এক একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। গত মঙ্গলবার সকালে সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চলমান নদী খননকাজের কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে পাউবো।
নদীভাঙনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সারা রাত নদীতে খননযন্ত্র চালানো হয়। স্থানীয় খননযন্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এমপি ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক ওহিদুজ্জামান (৩৮) বলেন, গতকাল ৭টা থেকে বড় বড় চাক ধরে মাটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত এই ভাঙন অব্যাহত ছিলো। নদীর পাড়সংলগ্ন চরের অন্তত ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩০ মিটার প্রস্থ হয়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ও চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকলাস (৪৮) অভিযোগ করেন, অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্র পাউবোর উত্তোলিত বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িত আছে। তারা রাতে তোলা বালু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে। তিনি দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর পশ্চিম দিকে কিছুটা ভাঙন দেখা যায়। যে এলাকায় নদী খনন চলছে, সেখান থেকে ভাঙনের জায়গা ৪০ মিটার দূরে নদীর পূর্ব পাড়ে।
এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, খননের সঙ্গে ভাঙনের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ভাঙনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। যে এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সে এলাকায় নদীর তলদেশের কী অবস্থা; তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় খননযন্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে স্থানে হাইড্রোলিক ড্রেজার ব্যবহার সম্ভব নয়, সেখানে লোকাল ড্রেজার ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা বলেন, ভাঙনের বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগের পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সার্বিক বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে