বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে খিচুরি উৎসব
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২১, ১৫:১৫
রসনা প্রিয় বাঙ্গালীর খাবারের তালিকায় রয়েছে নানা পদ। এর মধ্যে খিচুরি হলো অন্যতম একটি খাবার। আবহমান কাল ধরে চিরায়ত বাংলার সকলের পছন্দের খাবার খিচুরি। ঐতিহ্যকে বিশেষভাবে তুলে ধরতে ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী খিচুরি উৎসব।
শনিবার শহরতলির কমলাপুর লালের মোড় এলাকার টিসার্স ট্রেনিং কলেজের সামনের খোলা মাঠে ফরিদপুর খিচুরি উদযাপন কমিটির আয়োজনে শুরু হয় এই উৎসব। দুপুরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রথম খিচুরি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিপক কুমার রায়।
এ সময় প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমএ সামাদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এ বি এম সাত্তার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মো. আলতাফ হোসেন, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমরান হোসেন, ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক পান্না বালা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজ-ই কবির খোকন, এডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, আসমা আক্তার মুক্তা, খিচুরি কমিটির খিচুরি উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য সঞ্জিব দাস, মো. রুপম, লিটন মল্লিক, লাবু বিশ্বাস, মাহবুব হাসান তুষার, সুমন হোসেন ঝিন্টু, খন্দকার রেজাউল ইসলাম চয়ন, শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী নিঝুম, মিজানুর রহমান বিশ্বাস টুটুল, নাবলু পাটোয়ারী, মেহেদীহাসান জুয়েল, মো. ওয়াহিদুজ্জামন, হাসিনা মমতাজ লাভলী, মো. পাশা, আবু নাসির আলম, মাহবুব হোসেন পিয়ালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খিচুরি উৎসবে দুপুর থেকেই নানা বয়সের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ আসতে থাকে খিচুরির স্বাদ গ্রহণ করতে। একটি পর্যায়ে খিচুরি উৎসবের মেলার মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মেলা কমিটি ও খিচুরি স্টলে আসা নারীরা তাদের তৈরি খিচুরি দর্শকদের হাতে তুলে দেন ফ্রিতে।
উৎসবে ১৬টি খিচুরি স্টল তাদের খিচুরির পসরা নিয়ে বসে। আর এর ভিতর থেকে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে মাটির হাড়িতে তৈরি মুন রুমি রহমানের খিচুরি সেরা রাঁধুনির পুরস্কার”২০২১ লাভ করেন।
পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে দেশিয় গানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ব্যতিক্রমধর্মী খিচুরি উৎসব এখন থেকে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ শনিবার ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে বলে খিচুরি উৎসব কমিটি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে
