শিশুকে সশ্রম কারাদণ্ড: ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২১, ১৯:৫৬ আপডেট : ১০ মার্চ ২০২১, ২০:০৮
কোন কর্তৃত্ববলে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের মামলায় শিশুকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের ‘সশ্রম কারাদণ্ড’ দেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে বিষয়টি নজরে এলে ওই আদেশ দেয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মাহমুদা খাতুনকে ওই বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। আর হাইকোর্ট জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে শিশুটিকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এক মামলায় বাগেরহাটের একটি গ্রামের ওই শিশুর বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৪ ও ৫ ধারার অভিযোগ বিচারিক আদালতে প্রমাণিত হয়। আইনের ওই দুই ধারায় শিশুটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪(বি) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মাহমুদা খাতুন। রায়ের বিরুদ্ধে কারাগার থেকে শিশুটি গত বছর জেল আপিল করেন, যা শুনানির জন্য ওঠে।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে দেখা যায় আপিলকারী একজন শিশু। আইনে শিশুকে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার বিধান নেই। বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বিচারক মাহমুদা খাতুনকে ওই বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম