ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

কিডনি প্রতিস্থাপনে আইনি জটিলতা কাটছে না

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২১, ১৮:০১  
আপডেট :
 ১১ মার্চ ২০২১, ১৮:১৩

কিডনি প্রতিস্থাপনে আইনি জটিলতা কাটছে না
সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

কিডনি প্রতিস্থাপনে আইনি জটিলতা কাটছে না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিডনি রোগীদের নিঃস্ব করছে ওষুধ। সরকার চাইলেই তার দাম কমাতে পারে। ডায়ালাইসিসে প্রচুর খরচ, যা আমাদের নিম্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বহন করা খুবই কষ্টকর। তাই প্রতিস্থাপনই একমাত্র পথ। সমাজের বিত্তবান ও দানশীল প্রতিষ্ঠানকে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।

‘আপনাদের মতো দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদানে, আন্তর্জাতিক ভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ট্রান্সপ্লান্ট দলের কারিগরি তত্ত্বাবধানে লন্ডনের রয়েল হাসপাতালের সহায়তায় গণস্বাস্থ্য স্যার ফজলে হাসান আবেদ ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। যার আনুমানিক প্রাক্কালন ৭৫ কোটি টাকা। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যেখানে খরচ হয় ৩০ লাখ টাকা সেখানে আমরা কম খরছে মাত্র দেড় লাখ টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারবো।’

তিনি বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে আইনি জটিলতা কাটছেই না। হাইকোর্টের দেয়া অঙ্গ সংযোজনের রায় আজও বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু মানুষের কারণে আমরা আটকে পড়েছি।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রতিদিনই কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্য কোনো রোগ হলে ওষুধ খেয়ে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কিডনি দীর্ঘমেয়াদী রোগ হওয়ায় ব্যয়ভার অনেক বেশি।

‘সরকার ভারতীয় কোম্পানিকে ২২০০ টাকা সাবসিডিয়ারি দেয়, আমরা ৯০০ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু তা-ই পাচ্ছি না। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া কিডনি সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয়।’

প্রতিবছর হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বেসরকারিভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কিডনি প্রতিস্থাপন হলেও সরকারিভাবে নানা অজুহাতে থেমে আছে। ২০১৯ সালে একটি ট্রান্সপ্ল্যান্টের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু আইনি সংকীর্ণতার কারণে আজও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

ডা. মাসরুরা জাবীনের উপস্থাপনায় এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি, ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত