ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘অধিকার আদায়ে ইস্পাত কঠিন ঐক্য’

  সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২১, ২০:২৯

‘অধিকার আদায়ে ইস্পাত কঠিন ঐক্য’

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও বিরোধীদলের হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জেলার সকল এমপিদের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আসুন সবাই মিলে অধিকার আদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই। প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের উন্নয়নের ব্যাপারে উদার। তিনি আমাদের কখনো খালিহাতে ফিরিয়ে দেননি। ঢাকা-সিলেট ৬ লেন সড়কের সঙ্গে এবার সুনামগঞ্জ যুক্ত না হলে আর কোনোদিন যুক্ত হবে না। তাই দাবি আদায়ে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের সঙ্গে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অর্ন্তভুক্ত ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট দূর করার দাবিতে ‘সুনামগঞ্জবাসী’আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বলেন তিনি।

একইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ আর জনগণের সম্পদ নিয়ে আর রাজা-রাণীর খেলা চলতে দেয়া হবে না। যেখানে দুর্নীতি হবে সেখানেই জগণের কাছে জবাব দিতে হবে।

অধিকার আদায়ের এই সমাবেশে সুনামগঞ্জ সদর ও বিম্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

পীর মিসবাহ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেট বিভাগের উন্নয়নে ৬ লেন মহাসড়ক করার জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা যদি এই প্রকল্প সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধভাবে তার কাছে চাইতাম, তবে তিনি অবশ্যই আমাদের দাবি পূরণ করতেন। মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল, জানি না তিনি কী করেছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হলে সিলেট বিভাগের তিনিটি জেলার এর সাথে যুক্ত হবে। কিন্ত আমরা এর বাইরে থেকে যাবো। এখনই সময় বিষয়টি মাননীয় প্রধানন্ত্রীর সামনে তুলে ধরার।

জেলার স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, জেলার ৩০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির একমাত্র জায়গা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার, নার্স ও টেকনেশিয়ানের পদগুলো শূন্য। ৬০ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ১৪ জন রয়েছেন হাসপাতালটিতে। এতে মানুষ চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমি সংসদে, সংসদের বাইরে এ নিয়ে কথা বলেছি। কোনো লাভ হয় নাই। হাসপাতালটিতে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি থাকার পরও জনবলের অভাবে সেবা পাচ্ছে না মানুষ। জরুরিভিত্তিতে ডাক্তার-নার্স নিয়োগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চালু করতে হবে। এতে করে ডাক্তার সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি সেটি অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে, এটা বন্ধ করতে হবে।

জেলায় চলমান ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার কৃষকের বছরের একটি মাত্র ফসল রক্ষা করতে ১৩৩ কোটি টাকার বিশাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ, নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিময়-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আসছে সংশ্লিষ্ট অনেকের বিরুদ্ধে। কারো অবহেলা কিংবা দুর্নীতির কারণে মানুষের সোনার ফসল যদি পানির নিচে তলিয়ে যায়, তবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

পীর মিসবাহ আরো বলেন, নদী ভাঙন রোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের করতে হবে। অনেক স্থানে মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিল খনন কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে রাজা-রানীর খেলা চলছে। সেটির বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তার নির্বাচনী এলাকা হালুয়ারঘাট ও চলতি নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত