ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

আলোচিত কোকেন মামলায় আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৯

আলোচিত কোকেন মামলায় আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনের মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ একই আদালতে দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

আদালতে আজ যে দুইজন সাক্ষ্যগ্রহণ দিলেন তারা হলেন— তৎকালীন পিআইএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জহির ও জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. মাহতাব উদ্দিন।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ২০১৫ সালে মামলা তদন্ত করার সময় পিআইএল বাংলাদেশ লিমিটেড এর অফিস থেকে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। সেই সময় সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে করে কন্টেইনার আসার ই-মেইলের কপি, বিল অফ লেডিং ও জাহাজের ছবি সাক্ষীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। আদালতে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল ও সাহাব উদ্দীন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ তরল কোকেনের এই চালান আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া মাদক আইনের মামলায় ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর ওই বছরের ১৯ মে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন মেহেদী আলম, এ কে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন নুর মোহাম্মদ। এছাড়া মোস্তাক আহম্মদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

এ ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনের ধারায় একটি মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে।

র‍্যাব নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত তা গ্রহণ করেন।

চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিল। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত