ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বয়কট
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২১, ০২:৩৭ আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২১, ০২:৪৬
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিনা ওয়ারেন্টে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বয়কট করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি পালন করেছেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় তারা অবিলম্বে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলমের প্রত্যাহার দাবি করেন।
শুক্রবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দোয়ারাবাজার থানার ওসিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বক্তারা বলেন, উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮) একই ইউনিয়নের শুুুড়িগাও গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে অবস্থানরত গত ২৫ মার্চ দুুুপুরে বিনা ওয়ারেন্টে আনোয়ার হোসেন ও তার শ্যালক ফারুক আহমদকে (১৭) দোয়ারাবাজার থানার ওসির মোহাম্মদ নাজির আলমের নির্দেশে গ্রেপ্তার করেন এসআই মিজানুর রহমান। এভাবে বিনা ওয়ারেন্টে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার সকল মুক্তযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অপমান করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অযথা থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা এদেশ স্বাাধীন করেনি।
এসময় বক্তারা দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলমকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীর প্রতীক, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী, উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনফর আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লালা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জমির আলী প্রমুখ।
এর আগে ২৬ শে মার্চের প্রশাসনিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এদিকে দুুুুপুরে এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রহিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম প্রমুখ।
এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম সাংবাদিকদের জানান, কার্যবিধি আইনে ১৫১ ধারায় আমলযোগ্য অপরাধ এবং বড় ধরনের সংঘাত না ঘটার জন্য তাদের আটক করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আর